ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা আগামীকাল শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামী ব্যাংককে লিখিত আদেশ দিয়েছে, যাতে তারা বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা মেনে পরীক্ষার আয়োজন করে। এই আদেশের ফলে ব্যাংকের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আর কোনো বাধা নেই।
জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ ১৪ আগস্ট পরীক্ষাটি ২৯ আগস্ট নেওয়ার কথা জানিয়েছিল। তবে ব্যাংকের একজন জুনিয়র অফিসার মো. হানিফ ২৭ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। আদালত তখন এই বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন। ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় যে বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া বা না নেওয়া ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব এখতিয়ার।
হাইকোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এবং এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি দেশের প্রচলিত আইন ও নিয়োগের শর্ত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন কিংবা কাউকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যাংকের এখতিয়ারভুক্ত। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংককে সতর্ক করে দিয়েছে যে পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিধিমালা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
এদিকে, পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন। আট শতাধিক কর্মকর্তা এই মানববন্ধনে অংশ নেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এই পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে তাঁরা আরও বলেন, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে চাকরি থাকবে না এবং ক্যারিয়ারে উন্নতির সুযোগ থাকবে না—এমন নোটিশ দিয়ে ভয়ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তা এস এম এমদাদ হোসাইন জানান, এই উদ্যোগটি মূলত চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে, যেখানে একই ব্যাচের অন্য অঞ্চলের কর্মকর্তাদের পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে না। তিনি বলেন, পাঁচ থেকে সাত বছর চাকরি করার পর হঠাৎ এমন পরীক্ষা নেওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক।
আরও খবর পড়ুন: