ফ্রান্সে শেষ হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা ‘ট্যুর দা ফ্রান্স’। প্রতিযোগিতা চলাকালীন একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন এক নারী। প্ল্যাকার্ডটি টিভির ক্যামেরায় দেখাতে গিয়েই যত বিপত্তি।
প্ল্যাকার্ড দেখাতে গিয়ে মনের অজান্তে রাস্তার ওপর এসে পড়েন সেই নারী। তাতে লেখা ছিল ‘এগিয়ে যাও দাদা-দাদি’। জার্মানিতে থাকা নিজের দাদা-দাদির প্রতি ভালোবাসা দেখাতে প্ল্যাকার্ডটি নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। যখন তিনি প্ল্যাকার্ডটি দেখাতে ব্যস্ত ছিলেন, তখনই পেছনে চলে আসে সাইকেল প্রতিযোগীদের বহর।
প্রথমে টনি মার্টিন নামে এক জার্মান সাইক্লিস্টের সাইকেল হালকা করে ধাক্কা লাগে সেই নারীর শরীরে। এতে করে পড়ে যান সেই সাইক্লিস্ট। এরপর যা হওয়ার তাই হয়েছে! তাঁর পেছনে থাকা বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী হুড়মুড় করে একে অপরের ওপর পড়তে থাকেন। একজন, দুজন নয়—এক ধাক্কায় ২১ জন প্রতিযোগী পড়ে যান।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হন স্পেনের মার্ক সোলার। সোলারের দুই হাতই ভেঙে যায়। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ভয় পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান সেই নারী। প্রথমে পালিয়ে গেলেও মামলা থেকে বাঁচতে পারেননি তিনি। চার দিন পর অবশ্য ঠিকই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। মজাটা হচ্ছে, এমন তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েও অল্পতেই বেঁচে গেছেন সেই নারী।
এ ঘটনায় ফ্রান্সের একটি আদালত থেকে শাস্তি পেয়েছেন সেই নারী। শাস্তি কী জানেন? ১ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৭ টাকা) জরিমানা। এই জরিমানা ফ্রান্সের সাইক্লিং ফেডারেশনের কাছে দিতে আদালত ওই নারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে!