বেলারুশের দৌড়বিদ ক্রিস্টিনা সিমানভস্কায়া সোমবার টোকিও থেকে নিজ দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানান। দেশের কোচ ও ফেডারেশনের বিরুদ্ধে জোর করে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ আনেন তিনি। এ সময় বিমান বন্দরে জাপানি পুলিশের সহায়তা নিয়ে টোকিওর কাছে একটি হোটেলে আশ্রয় নেন সিমানভস্কায়া। পরে পোল্যান্ডের দেওয়া মানবিক বিবেচনায় ভিসার প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন বেলারুশের এই দৌড়বিদ।
সিমানভস্কায়ার দাবি, অলিম্পিকের একটি ইভেন্টে আকস্মিকভাবে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে ঘটনায় কোচদের সমালোচনা করাতেই অলিম্পিকের মাঝপথে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তাঁর ভয়, দেশে ফেরার পর তাঁকে আরও খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে। এমনকি ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে এয়ারপোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বেলারুশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিমানভস্কায়া মানসিকভাবে অসুস্থ। তাই তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
দেশে ফিরতে ভীত সিমানভস্কায়া ইউরোপে আশ্রয় চেয়েছেন বলেও জানা গেছে। পরে চেক প্রজাতন্ত্র ও পোল্যান্ড এই অ্যাথলেটকে ভিসা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে। এরই মধ্যে পোল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন তিনি।
আইওসির মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস বলেছেন, ‘এরই মধ্যে একাধিক এজেন্সির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে, যেখানে জাতিসংঘের শরণার্থী এজেন্সিও আছে।’ পাশাপাশি বেলারুশের কমিটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আইওসি। স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এর আগেও বেলারুশের অলিম্পিক ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল আইওসি। ফেডারেশনটি প্রধান দেশটির স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কুর ছেলে ভিক্টর লুকাশেঙ্কু।