নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলায় প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ বুধবার। সাড়ে ১১টার দিকে ডোমার-ডিমলা সড়কের পাশে মরিচখেতে কাজ করতে দেখা যায় বর্গাচাষি অহিদুল ইসলামকে। ভোট না দিয়ে খেতে কাজ করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘শেষ বেলায় ভোট দিবার যাম, আগোত য্যায়া লাভ কী? সক্কালে গেইলে দিনটায় মাটি। তাই মুই এখন মরিচখেতের ঘাস গিলা নেলাওছো।’
অহিদুল ইসলাম ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটকপুর ইউনিয়নের মেলা পাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। ভোটের দিনের ব্যস্ততা নেই এই ভোটারের। অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক কাজকর্মে পার করছেন তিনি।
অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মরিচখেতে প্রচুর আগাছা হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার পথে। দৈনিক হাজিরা ৬০০ টাকা দিয়েও মানুষ মিলছে না। এমনিতেই বর্গাচাষি, নিজেই শ্রম না দিলে লোকসান হবে এই ফসলে। তাই ভোটের চিন্তা আগে করছি না। সময় পেলে বিকেলে ভোট দিতে যাব।’
এদিকে ডোমারের চিকনমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় রাউতা উচ্চ বিদ্যালয় ও ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, বেলা ১১টা পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
এ সময় কথা হয় নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্লোল দত্তের সঙ্গে। তিনি বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে। বিশেষ করে নারী ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
তিনি আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্যের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবির ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে।