ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গতকাল দাবি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন। তবে ডিবির এই দাবি মানতে নারাজ ফারদিনের পরিবার ও সহপাঠীরা। সে জন্য ডিবির আহ্বানে ফারদিনের আত্মহত্যার ‘তথ্য-প্রমাণ’ জানতে মিন্টো রোডে সংস্থাটির কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বুয়েটের ৩১ জন শিক্ষার্থী।
তাঁরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে তাঁরা প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি অবস্থান করে বেলা পৌনে ২টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হন।
নাম প্রকাশ না করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা ডিবি কার্যালয়ে ফারদিনের আত্মহত্যার বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। তবে আমরা এখনো নিশ্চিত না। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব।’
এর আগে বুয়েট শিক্ষার্থীরা আজ সকাল ১০টায় তাঁদের পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশ আপাতত স্থগিত করেন।
গতকাল ডিএমপির ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ তারাব বিশ্বরোডের সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ফারদিন ঘটনার দিন রাত ৯টার পরে বান্ধবী বুশরাকে রামপুরায় নামিয়ে দিয়ে এরপর তিনি কেরানীগঞ্জে যান। সেখানে থেকে আবার পুরান ঢাকার জনসন রোডে আসেন। সেখান থেকে গুলিস্তান, এরপর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা। সেখান থেকে লেগুনায় উঠে তারাব বিশ্বরোডে চলে যান। সুলতানা কামাল ব্রিজের ওপর নেমে তিনি হেঁটে আসেন। সেখান থেকে রাত ২টা ৩৪ মিনিট ২৩ সেকেন্ডে ঝাঁপ দেন, যা ব্রিজের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।’
ফারদিন হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরও সংবাদ পড়ুন: