ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। আজ শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে এমনটিই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাস না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
অভিযোগ করে একাধিক যাত্রী জানান, সড়কে যাত্রী বেশি, তবে যানবাহনের সংখ্যা কম। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের মালিকেরা। তবুও দূরপাল্লার বাস না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে তাঁদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আরিফ নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমি চিটাগাং যাব। কিন্তু সড়কে বাস নেই। বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘ তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। এখন বাধ্য হয়ে ৭০০ টাকার ভাড়ার বিপরীতে আরও অতিরিক্ত ৮০০ টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছি।’
মোস্তফা নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমি আমার পরিবার নিয়ে ফেনীতে যাব। কিন্তু আজ সকাল থেকে কোনো গাড়ি পাইনি। তাই এখন বিকল্পভাবে ভাড়া বেশি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছি।’
এ বিষয়ে শিমরাইল ক্যাম্পের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) একেএম শরফুদ্দীন জানান, আজ সকাল থেকেই সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রী কম থাকায় হয়তো যানবাহন কম রয়েছে। তবে কী কারণে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে তা তিনি জানেন না বলেও জানিয়েছেন।
ট্রাফিক পরিদর্শক আরও জানান, অ্যাম্বুলেন্সে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাত্রী পারাপারের বিষয়টি জানেন না তিনি। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন: