হোম > সারা দেশ > ঢাকা

চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা: স্বামী ও তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পারিবারিক কলহের জেরে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যার মামলায় স্বামী খন্দকার সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তাঁর বন্ধু এস এম ওয়াই আবদুল্লাহ ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

আজ অভিযোগপত্র গ্রহণসংক্রান্ত শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদীর কোনো আপত্তি না থাকায় শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে আদেশ দেন। নথি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারের জন্য নথিটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠাবেন।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে চিত্রনায়িকা শিমুকে খুন করেন তাঁর স্বামী নোবেল। আর এই খুনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন তাঁর বন্ধু ফরহাদ।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের আলামত নষ্ট করতে নোবেলকে সহায়তাও করেছেন তাঁর বন্ধু ফরহাদ। অভিনেত্রী শিমু কলাবাগানের বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর গত ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তাঁর বস্তাবন্দী মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর শিমুর ভাই হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় তাঁর স্বামী নোবেল ও বন্ধু এস এম ওয়াই ফরহাদসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নেয়। পরে তাঁরা পৃথক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেন। 

জবানবন্দিতে নোবেল বলেন, ঝগড়ার পর তিনি তাঁর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। 

নোবেল সারা রাত লাশের সঙ্গেই ছিলেন এবং পরদিন সকালে তাঁর বন্ধু ফরহাদকে গ্রীন রোডের বাড়িতে ডাকেন। পরে বন্ধুর সহায়তায় নোবেল কেরানীগঞ্জে লাশ ফেলে দেন।

খুনের বর্ণনা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, এ বছরের ১৬ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৮টায় নোবেলের বাসায় যান তাঁর বন্ধু ফরহাদ। প্রথমে শিমুর সঙ্গে দেখা হয়। শিমু ফরহাদকে ড্রয়িংরুমে বসতে দিয়ে নোবেলকে জানান। নোবেল নিজে রান্নাঘরে গিয়ে চা বানান।

এদিকে শিমু বেডরুমে মোবাইল ফোন নিয়ে বসে ছিলেন। নোবেল মোবাইল ফোন দেখতে চান। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নোবেল ফরহাদকে ডাক দিয়ে বলেন, ‘শিমুকে ধর, ওকে আজ মেরেই ফেলব।’

ফরহাদও বেডরুমে যান। ফরহাদ শিমুকে ধরতে গেলে ধাক্কাধাক্কি হয়। নোবেল শিমুর দিকে তেড়ে যান। দুজনই শিমুকে ধরে ফেলেন। ফরহাদ শিমুর গলা ধরেন। নোবেল দুই হাত ধরেন। শিমু পড়ে যান। নোবেল শিমুর গলায় পা দিয়ে দাঁড়ান। একপর্যায়ে শিমু নিস্তেজ হয়ে পড়েন।

ফরহাদ জানান, শিমু বেঁচে নেই। রান্নাঘর থেকে দুটি পাটের বস্তা এনে দুজনে মিলে শিমুর মরদেহ বস্তায় ঢোকান। এরপর প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বস্তা সেলাই করে নোবেলের গাড়ির পেছনের সিটে ওঠান। পরে কেরানীগঞ্জের আলীপুর ব্রিজের পাশে একটি ঝোপে বস্তা ফেলে দিয়ে আসেন।

অন্যান্য খবর পড়ুন:

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

সাভারে থেমে থাকা বাসে আগুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

রাজধানীর তিন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, মিরপুরে দোকানি আহত

টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই, আহত ২

দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ময়লার গাড়ির চালক কারাগারে

র‍্যাব সেজে ডাকাতি: ৩৪ লাখ টাকা লুট, গ্রেপ্তার ৬

কেরানীগঞ্জে সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে