বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে নগরের অনেক বাসিন্দা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে ভূমিকম্পে নগরীতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম নগরসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বেলা ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের কোথাও দুর্ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভবন হেলে পড়ার খবরও পাওয়া যায়নি।
নগরের চান্দগাঁও থানা বাসিন্দা রবিন চৌধুরী বলেছেন, ‘শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘরেই ছিলাম। হঠাৎ আমার বাসা ঢুলতে শুরু করে। কয়েক সেকেন্ড ধরে কাঁপুনি না থামার পর একটা নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিই। কিন্তু ততক্ষণে কম্পন থেমে যায়।’ ভূমিকম্পের সময় একটা ভয় কাজ করছিল বলে জানান তিনি।
তবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক শামীম হাসান জানান, ভূমিকম্পের কারণে বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে।
বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে চট্টগ্রাম নগরে ৩ লাখ ৮২ হাজার ভবনের মধ্যে ২ লাখ ৬৭ হাজার ভবন কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করে আসছেন নগর পরিকল্পনাবিদেরা।