কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের ২ একর ৩০ শতক খাসজমি অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা তৈরির ঘটনায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুপুরে সুগন্ধা পয়েন্টের ওই জমিতে দুদকের কক্সবাজার জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া বাবুর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া বাবু বলেন, খাসজমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। একটি চক্র সরকারি খাস খতিয়ানের আড়াই একর জমি জাল দলিল ও খতিয়ান তৈরি করে শতাধিক দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেয়।
অনিক বড়ুয়া বাবু আরও বলেন, সরকারি জমি দখলদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে জাল খতিয়ান ও দলিল তৈরির মদদদাতা প্রভাবশালী ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে থাকা ২০০ কোটি টাকা মূল্যের এই খাসজমি কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সহসভাপতি ওবাইদুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দখলদার চক্র জাল কাগজ বানিয়ে দখল করে নেয়। চার পাশে উঁচু বেড়া দিয়ে শতাধিক দোকান নির্মাণ করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সচ্চিদানন্দ সেনগুপ্তের নামে জাল কাগজপত্র বানিয়ে জমিটি দখল করা হয়েছে। ওবাইদুল হোসেন দাবি করেছেন, তিনি সচ্চিদানন্দ সেনগুপ্তের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে দোকান নির্মাণ করেছেন। তবে জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, সচ্চিদানন্দের নামে কোনো খতিয়ান নেই। এ নিয়ে রোববার আজকের পত্রিকার শেষ পাতায় ‘২০০ কোটি টাকার খাসজমি দখল’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে দুদকের অভিযান চলাকালে সংবাদ সংগ্রহে গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের দখল করা জমিতে প্রবেশে বাধা দেন দখলকারীরা। গণমাধ্যমকর্মীরা ঢুকতে চাইলে গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে সাংবাদিকেরা ভেতরে প্রবেশ করেন।