মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আরও ১৬ জান্তা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। গতকাল রোববার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ৯ বিজিপি সদস্য এবং রাতে প্রবেশ করে পাঁচজন। আজ সোমবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির ৩৪ বিজিবির ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে দুজন।
এদের নিরস্ত্র করে বিকেল সাড়ে ৪টায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া হয়। তাঁদেরকে আগের ১৮০ জনের সঙ্গে রাখা হয়েছে। এ বিদ্যালয়ে মোট আশ্রিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৬ জনে।
এদিকে আশ্রিত ১৬ জনের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
টেকনাফ ২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তাঁর এলাকার দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তাঁদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ির আগের আশ্রিত ১৮০ জনের সঙ্গে রাখা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে টানা দুই বছর দুই মাস ধরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) তুমুল লড়াই চলছে। চলমান সংঘাতের কারণে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সদস্যরা কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। গত ১১ মার্চ আশ্রয় নেন দেশটির ১৭৭ জন জান্তা সদস্য। পরে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তাঁরা সবাই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রয়েছেন।
এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয় সে দেশের নৌবাহিনীর জাহাজে করে।