সচরাচর মহিষ হয় কালো রঙের। গোলাপি সাদা মহিষ খুবই বিরল। এমন দুটি গোলাপি রঙের মহিষের এসেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক কোরবানির হাটে।
গত কয়েক দিন ধরে মহিষ দুটি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় করছেন। মহিষটির যে ব্যাপারী এনেছেন তিনি নাম দিয়েছেন ‘রাজাবাবু’। আরেকটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পদ্মা’।
ব্যাপারীর দাবি, একটি মহিষের ওজন ৯ মণ অন্যটির ৭ মণ। ১৫ লাখ টাকায় দুটি মহিষ তিনি বিক্রি করে দিতে চান। তবে এখনো ক্রেতারা আশানুরূপ দাম বলছেন না।
ব্যাপারী জানান, তিনি মহিষ দুটি এনেছেন সিলেট থেকে। সিলেটে এসেছে ভারত থেকে।
সাদা মহিষ বা সাদা বাইসন (অনেকে বলেন পিংক বা অ্যালবিনো বাফেলো) হলো আমেরিকান মহিষ। কয়েকটি নেটিভ আমেরিকান ধর্মে এ ধরনের মহিষকে পবিত্র বা আধ্যাত্মিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। প্রার্থনা এবং অন্যান্য ধর্মীয় আচারের সময় এ ধরনের মহিষ রাখা হয়। অ্যালবিনো মহিষ বিভিন্ন শারীরিক অবস্থার কোনো একটি হতে পারে:
এরা সাদা পশমযুক্ত লিউসিস্টিক হতে পারে। তবে অ্যালবিনো মহিষের মতো গোলাপি রঙের পরিবর্তে সাদা পশম ও নীল চোখের হয়।
একটি বিরল জেনেটিক অবস্থার কারণেও এমনটি হতে পারে। সাদা হয়ে জন্মায়, তবে পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক বা দুই বছরের মধ্যে বাদামি রং ধারণা করে।
এরা বাইসন এবং গরুর সংকরও হতে পারে। সাদা গরু থেকে বংশানুক্রমে সাদা রঙের উত্তরাধিকারী হতে পারে।
সাদা বা গোলাপি মহিষ অত্যন্ত বিরল। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বাইসন অ্যাসোসিয়েশনের ধারণা, প্রতি ১ কোটিতে একটি গোলাপি মহিষ জন্মে। এগুলো প্রাকৃতিকভাবে ঘটে। যদিও বাছাইকৃত প্রজননের (সিলেকটিভ ব্রিডিং) মাধ্যমে সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।