চাঁদপুর (মতলব উত্তর): চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলায় ষাটনল পর্যটনকেন্দ্রে সারা বছর পর্যটকদের কমবেশি সমাগম থাকলেও শুক্রবার বা সরকারি ছুটির দিনে ও শীত মৌসুমে প্রতিদিনই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকত। কিন্তু অবকাঠামোর স্বল্পতা ও পর্যটনকেন্দ্রের পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা পোলট্রি খামারের কারণে ধুঁকছে একসময়ের জনপ্রিয় এ পর্যটনকেন্দ্রটি। পর্যটনকেন্দ্রটির অবকাঠামোর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, তদারকির অভাব ও অপব্যবহারের কারণে গুরুত্ব হারাচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রটি।
গতকাল শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া পরিদর্শনে এসে আশার আলো দেখালেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিক ও সুধীজনদের বলেন, এ পর্যটনকেন্দ্রটি আধুনিক ও মনোরম করে গড়ে তোলা হবে। পর্যটকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে সব ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। জমি নিয়ে জটিলতায় এত সুন্দর পরিবেশে মেঘনা নদীর তীরে গড়ে ওঠা ঢাকার কাছাকাছি পর্যটনকেন্দ্রটি বন্ধ থাকতে পারে না।
জানা যায়, ২০০০ সালে সরকারিভাবে এটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে ওই বছর ২৩ এপ্রিল মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনলে পর্যটনকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মোশারফ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। পর্যটনকেন্দ্রের জন্য মেঘনা নদীর পাড়ে প্রায় সাড়ে ৮ একর সম্পত্তির ওপর পিকনিক স্পট নির্মাণ করার জন্য চাঁদপুর জেলা পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
লিয়াকত হোসেন নামে এক দোকানদার বলেন, ‘সারা বছর কমবেশি লোক এলেও বর্তমানে পোলট্রি খামারের দুর্গন্ধের কারণে ও পর্যাপ্ত সুবিধাদির অভাবে পর্যটক কম আসছেন। এর ফলে আমাদের ব্যবসা এখন খারাপ। অনেকে এ স্থান থেকে দোকান গুটিয়ে নিচ্ছেন।’
অপরদিকে খামারি বুলবুল বলেন, ‘আমরা এখানে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছি। এখন পোলট্রি খামার বন্ধ করে দিলে কি কাজ করব?’
পর্যটনকেন্দ্র লাগোয়া পোলট্রি খামার গড়ে ওঠা ও অবকাঠামোর বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান জানান, ষাটনল পর্যটনকেন্দ্রকে আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর পর্যটনকেন্দ্র ও পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে না।