ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড- ইয়াং বয়েজ ম্যাচের শেষ মুহূর্তের খেলা চলছিল তখন। ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচে ড্রই মনে হচ্ছিল একমাত্র নিয়তি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ম্যানইউর। শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে গোল হজম করে ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রেড ডেভিলরা।
ইউরোপীয় মঞ্চে ম্যানইউর হয়ে এটি ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দ্বিতীয় 'অভিষেক'। এ ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলায় (১৭৭) কিংবদন্তি স্প্যানিশ গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে ছুঁলেন রোনালদো। ইপিএলের মতো এখানেও শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ১৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি এসেছিল সিআর সেভেনের কাছ থেকে।
এগিয়ে গিয়ে দাপট ধরে রাখে ইংলিশ জায়ান্টরা। কিন্তু ওলে গুনার সুলশারের সব হিসাব এলোমেলো হয়ে যায় ম্যাচের ৩৫ মিনিটে। ইয়াং বয়েজের এক খেলোয়াড়কে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ওয়ান-বিসাকা। দশ জনের দল নিয়ে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ পার করে ম্যানইউ।
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামে স্বাগতিক ইয়াং বয়েজ। ১০ জনের ম্যানইউকে রীতিমতো চেপে ধরে তারা। এ সময় কোনঠাসা ম্যানইউকে পালটা আক্রমণের ওপর নির্ভর করে খেলতে হয়। একের পর এক আক্রমণের ধারায় ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ঠিকই সমতা ফেরায় বয়েজ। গোলটি করেন মাউমি এনগামালেউ। গোলের সুযোগ অবশ্য রোনালদোও পেয়েছিলেন৷ কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি আদায় করতে পারেননি পর্তুগিজ মহাতারকা।
শেষ দিকে ম্যানইউকে চেপে ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বয়েজ। যার সুফল তারা পায় যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটে। জর্দান সিয়েবাতচেউ বয়েজের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। এই গোলের পর ম্যাচে ফেরার আর কোনো সুযোগ পায়নি ম্যানইউ।