‘থ্রি লায়নস’ খ্যাত ইংল্যান্ড আর আফ্রিকার ‘লায়নস অব তেরেঙ্গা’ সেনেগালের লড়াই। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ হলেও নটিংহামের সিটি গ্রাউন্ডে রোমাঞ্চ ছিল টইটম্বুর। ম্যাচের শুরুতেই দুর্দান্ত গোলে গ্যালারিতে থ্রি লায়নদের সাদা সমুদ্রে উচ্ছ্বাসের ঢেউ তোলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন।
তার কিছুক্ষণ পরই ঘুরে দাঁড়িয়ে দৃশ্যপট বদলে দিলেন ইসমাইলা সার, হাবিব দিয়ারা ও চেইখ সাবালি। তাঁদের প্রত্যেকের একটি করে গোলে ইংল্যান্ডকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে এক নতুন ইতিহাস গড়ল সেনেগাল। আফ্রিকা মহাদেশের প্রথম দল হিসেবে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে তারা।
ইংল্যান্ড আফ্রিকান দলের বিপক্ষে এর আগে ২১ ম্যাচে অপরাজিত ছিল। ১৫ ম্যাচে জিতেছে, ৬টি ড্র করেছে। ১৯৯০ সালে প্রীতি ম্যাচে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে হারতে বসেছিল, তবে স্টিভ বুল ৮৯ মিনিটে গোল করে ১-১ ড্র নিশ্চিত করেছিলেন। ইংল্যান্ড সবশেষ এবং প্রথমবার অন্য কোনো মহাদেশের দলের কাছে হেরেছিল ২০০৩ সালে। সেবার আপটন পার্কে অস্ট্রেলিয়া তাদের ৩-১ গোলে হারিয়েছিল।
ইতিহাস গড়ে উচ্ছ্বসিত সেনেগালের অধিনায়ক কালিদু কুলিবালি বলেন, ‘চমৎকার এক রাত। আমরা জানতাম এই ম্যাচে এ রকম কিছু করতে পারি। অসাধারণ এক অনুভূতি। আমরা ইতিহাস গড়তে অভ্যস্ত নই—আফকন (আফ্রিকার সেরা) জিতে একবার করেছি, আর আজ (গতকাল) রাতে আবার করলাম। আমরা চাই সেনেগালের হয়ে এভাবেই গল্প লিখে যেতে। দেখাতে চেয়েছি আমরা একটি ভালো দল।’