সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিল জয় পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিটা টের পাওয়া যায়নি। টের পাওয়া গেল ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমে যাওয়ার পথে, যখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে প্রবেশ করলেন নেইমার। জানা গেল, গোড়ালি মচকে গেছে তাঁর। শঙ্কা আছে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ারও।
গতকাল রাতে সার্বিয়ান ডিফেন্ডার নিকোলা মিলেনকোভিচের ট্যাকলের পর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ৭৯ মিনিটে মাঠ ছাড়েন নেইমার। ট্যাকলটা হয়েছিল ম্যাচের ৬৭ মিনিটে। ১২ মিনিট ব্যথা নিয়ে খেলে যাওয়ার চেষ্টা করে গেছেন। বদলি হওয়ার পর যখন ডাগআউটে বসলেন, তখন তাঁর ব্যথাকাতর চেহারাই বলে দিয়েছে, ভীষণ রকম একটা আঘাত তিনি পেয়েছেন।
ম্যাচ শেষেই জানা গেছে, ডান পায়ের গোড়ালি মচকে গেছে নেইমারের। অবস্থা কতটা গুরুতর সেটা জানা যাবে এক্স-রে পরীক্ষা শেষে। সময় লাগবে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা। তবে ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতে আত্মবিশ্বাসী, বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতে দেখা যাবে পিএসজি তারকাকে। বলেছেন, ‘আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, নেইমার বিশ্বকাপে খেলবেই।’
তিতে যতই আত্মবিশ্বাসী হোন, ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের চোখে ভেসে উঠতে শুরু করেছে ২০১৪ বিশ্বকাপে কলম্বিয়া ম্যাচের সেই দৃশ্য। জাগছে ভয়। সব মিলিয়ে সার্বিয়ানদের ৯টি কড়া ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। ম্যাচের পর নেইমারের পায়ের ছবিও বলে দিচ্ছে, চোট বেশ গুরুতর। ব্রাজিলিয়ান দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার জানিয়েছেন, ‘এখনই বলা যাবে না যে নেইমার ছিটকে গেছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা পর বুঝতে পারব আসলে কতটা ক্ষতি হয়েছে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’ আপাতত তার চোটের যে ধরন, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে না গেলেও গ্রুপ পর্বে বিশ্রামে থাকতে হতে পারে ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে।