এবারের বিশ্বকাপে ‘ই’ গ্রুপে জাপানের প্রতিপক্ষ ছিল জার্মানি, স্পেন, কোস্টারিকা। জার্মানি ও স্পেনের মতো দুই ইউরোপীয় পরাশক্তি থাকায় অনেক ভক্ত-সমর্থক হয়তো জাপানের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন না। তবে কাতার বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে এই ‘গ্রুপ অফ ডেথ’ থেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে শেষ ষোলোতে পৌঁছেছে জাপান। যেখানে জার্মানি, স্পেন-এই দুই দলের বিপক্ষেই পিছিয়ে থেকে জয় পেয়েছে ব্লু-সামুরাইরা।
খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২৩ নভেম্বর জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিয়ান শুরু করে জাপান। ম্যাচের ৩৩ মিনিটের সময় ইকে গুনডোগানের গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। ৭৪ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে পরিষ্কার ফেভরিট ছিল জার্মানরা। আর এখান থেকেই মূলত নাটকীয়তার শুরু। ৭৫ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করেন রিতসু দোয়ান। ৮৩ মিনিটে তাকুমা আসানোর গোলে এগিয়ে যায় জাপানিজরা। ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা অঘটন ঘটায় ব্লু-সামুরাইরা।
১টি করে ম্যাচ জয় ও পরাজয়ে জাপানের কাছে গতকাল ম্যাচটি ছিল ‘বাঁচা-মরার ম্যাচ।’ খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে জাপানিজদের প্রতিপক্ষ ছিল স্পেন। ম্যাচের ১১ মিনিটের সময় আলভারো মোরাতার গোলে এগিয়ে যায় স্প্যানিশরা। ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ২০১০ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তখন জাপানিজ ফুটবলাররা হয়তো বলছিলেন, ’ পিকচার আভি বাকি হ্যাঁয়।’ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৩ মিনিটের ম্যাজিকেই এগিয়ে যায় জাপান। ৪৮ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করেন রিতসু দোয়ান। আর ৫২ মিনিটের সময় হয় অবিশ্বাস্য সেই গোল। রিতসু দোয়ানের ক্রস লাইনের বাইরে চলে যাচ্ছিল। উইঙ্গার কাওরু মিতোমা বলটা দ্রুত রিসিভ করে ক্রস করেন এবং গোলটি করেন আও তানাকা। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাপানের ওঠা নিশ্চিত হয়।
রূপকথার মতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠাই নয়, বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়ায় ব্রাজিল, জার্মানিরও সঙ্গী হয়েছে জাপান। পিছিয়ে থেকে একই বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ জেতা তৃতীয় দল হচ্ছে জাপান। ১৯৩৮ বিশ্বকাপে এই কীর্তি গড়েছিল ব্রাজিল। আর ১৯৭০ বিশ্বকাপে এমন রেকর্ড গড়েছিল জার্মানরা।