হোম > খেলা > ফুটবল

শক্তি, সৌভাগ্য ও ত্যাগ দিয়ে গড়া আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ 

দুই মিনিটে ২ গোল, অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তন। যারা রিয়াল মাদ্রিদের ভক্ত নন,  প্রশংসায় পঞ্চমুখ তারাও। মৌসুমজুড়ে একটা দল কতবার দর্শকদের বিস্মিত করতে পারে? একবার, এরপর ভাগ্যের জোরে হয়তো আরেকবার। কিন্তু এই রিয়ালকে মনে হচ্ছে আরব্য রজনীর বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা এক দল, যারা নতুন করে রূপকথা লিখছে শুধু নিজেদের গল্প দিয়ে।

গতকাল রাতে ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষে যাঁরা বাজি ধরেছিলেন, তাঁদের মুখে চওড়া একটা হাসি ছিল ৮৯ মিনিট পর্যন্ত। আর মাত্র এক মিনিট, এর পরই সময় চলতে শুরু করবে অনিশ্চয়তার দিকে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সিটি এগিয়ে তখন ১-০ ব্যবধানে। দুই লেগের অগ্রগামিতা মিলিয়ে রিয়াল তখনো পিছিয়ে ৫-৩ গোলে। অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে কার্লো আনচেলত্তির দলের হাতে সময় সাকল্যে ৬ মিনিটের মতো। 

ম্যাচের ভাগ্য পাল্টে দিতে রিয়াল সময় নিল মাত্র দুই মিনিট। ৯০ মিনিটে করিম বেনজেমার পাস থেকে রদ্রিগোর ছোঁয়ায় ম্যাচে নিজেদের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখা। ৯১ মিনিটে দানি কারভাহালের ক্রস থেকে রদ্রিগোর হেডে ২ গোলের ব্যবধান ঘুচিয়ে ৫-৫ গোলের সমতায় ফেরা। এরপর তো ৯৫ মিনিটে বেনজেমার পেনাল্টি গোল। হারতে হারতে ম্যাচটা জিতে নেওয়া। রিয়াল মানেই এখন রূপকথার চেয়ে বেশি কিছু। 

প্রথম লেগে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে যখন সিটির কাছে ৪-৩ গোলে হেরে এল রিয়াল, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি মিম বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।  ম্যাচে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা যেখানে ডাগআউট চিৎকার করতে করতে তার গলা ভাঙতে বসেছেন, সেখানে মিমতে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে দেখানো হয়েছে ইতালিয়ান ‘গডফাদার’ ভিটো করলিওনি রূপে। আবেগ নেই, ভাবনা নেই। শান্ত আর দুশ্চিন্তামুক্ত এক ব্যক্তি। 

কিন্তু গতকালের ম্যাচের উত্তাপ ছুঁয়ে গেছে ‘গডফাদার’ আনচেলত্তিকেও। একসময় ডাগআউটে নড়াচড়া করতে দেখা গেল তাঁকে। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের যখন বাকি মাত্র এক মিনিট, তখনো তিনি বিশ্বাস রেখেছিলেন তাঁর শিষ্যদের প্রতি। জানতেন, খেলায় ফিরবে তাঁর দল। উঠবে ফাইনালে। ম্যাচ শেষে সেই বিশ্বাসের কথা সংবাদমাধ্যমকে শোনালেন রিয়ালের ইতালিয়ান কোচ। বললেন, ‘যতই কঠিন প্রতিপক্ষ হোক, আমার দল হাল ছাড়ে না। আমাদের সব আছে: ত্যাগ, সৌভাগ্য আর শক্তি দিয়ে গড়া এই দল। চ্যাম্পিয়নস লিগে এই মৌসুমে একটা জিনিস খুব বেশি হচ্ছে। আমরা কঠিন সব প্রতিপক্ষকে পাচ্ছি, আর সব দলের বিপক্ষেই জয় পাচ্ছি।’ 

২৮ মের ফাইনালে চেনা প্রতিপক্ষকেই পাচ্ছেন আনচেলত্তি। ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুলকে। মোহামেদ সালাহর স্বপ্ন ভেঙে ২০১৮ সালের ফাইনাল জিতে রিয়াল তুলেছিল তাদের ১৩তম ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা। অলরেডদের বিপক্ষেই হয়ে যেত ১৪ নম্বর শিরোপা উল্লাস, তবে সালাহ জানিয়ে দিয়েছেন এবার সেটা হচ্ছে না। পুরোনো কিছু হিসাব তিনি এবার বুঝিয়ে দেবেন রিয়ালকে। 

আনচেলত্তি যেন তাতে মজাই পাচ্ছেন। উল্টো শুনিয়ে দিলেন, ‘এভারটনের কোচ হিসেবে দুই বছর লিভারপুলে ছিলাম। এটা আমার কাছে অনেকটা ডার্বির মতো। আমি ক্লপকেও ভালো করে জানি। তাঁর কোচিং স্টাফের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। দারুণ একটা ফাইনাল হবে আশা করছি।’ 

হাকিমির ফেরার রাতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন মরক্কো, ম্যাচ না জিতেও পরের রাউন্ডে মালি

২০২৬ বিশ্বকাপ দেখতে রেকর্ড ১৫ কোটি টিকিটের আবেদন

১০০০ গোল না করা পর্যন্ত অবসর নেবেন না রোনালদো

রোনালদোভক্ত তনিমার দৃষ্টিনন্দন জোড়া গোলে শুরু নারী লিগ

এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিতে মেয়েদের ভরসা ঘরোয়া লিগ

নৌকাডুবিতে ভ্যালেন্সিয়া কোচ ও তাঁর তিন সন্তানের মৃত্যু

রোনালদো-জাদুতে আল নাসরের ইতিহাস

দিয়াবাতের পেনাল্টি মিস, কিংসকে হারাতে পারেনি আবাহনী

না ফেরার দেশে স্কটিশ কিংবদন্তি ফুটবলার

মেলবোর্নে সবুজ উইকেটে খেলতে নেমে বিপাকে চার পেসারের অস্ট্রেলিয়া