চট্টগ্রাম আবাহনী বিপক্ষে আজ ফর্টিস এফসির ৪-০ গোলের জয়ে শেষ হয়েছে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম। তবে আগামী মৌসুম নিয়ে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেশাদার লিগ কমিটি।
প্রিমিয়ার লিগে বরাবরই থাকে বিদেশি ফুটবলারদের আধিপত্য। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ক্লাবগুলোরও বিদেশিদের প্রতি বেশি আস্থা থাকে। তবে আগামী মৌসুমের জন্য কমেছে বিদেশি ফুটবলারদের কোটা। ক্লাবগুলো ছয়ের বদলে ৫ ফুটবলারকে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে। মাঠে চারজনের পরিবর্ত সর্বোচ্চ তিন বিদেশি ফুটবলার খেলতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশনের কাজ ক্লাবগুলো অনলাইনে সারতে পারবে। তবে সাফভুক্ত দেশের কোনো ফুটবলার থাকলে তাঁকে স্থানীয় ফুটবলার হিসেবে গণ্য করা হবে। তাই ভারত-পাকিস্তানের ফুটবলারদেরও ‘বাংলাদেশি’ খেলার সুযোগ থাকছে প্রিমিয়ার লিগে।
আজ বাফুফে ভবনে সভা শেষে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান বলেন, ‘সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্লেয়ার যদি নেই, তাদের স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য করা হবে, বিদেশি বলে গণ্য করা হবে না। এখানে খেলোয়াড় নেওয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যার কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না। পরে ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করব। শুধু ভারত পাকিস্তানকে স্থানীয় হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না, তেমনি পাকিস্তানও ভারতকে দেবে না।’
ক্লাবের হয়ে ডাগআউটে থাকতে পারবেন না বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য। স্বচ্ছতা ও সততা নির্ধারণে প্রতিটি ডাগআউটে থাকবে রেকর্ডার।
১ জুন থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ২০২৫-২৬ মৌসুমের দলবদল চলবে। নতুন মৌসুমে পাঁচটা টুর্নামেন্টই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিগ কমিটি। ১২ সেপ্টেম্বর চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে শুরু হবে মৌসুম। লিগের পাশাপাশি চলবে ফেডারেশন কাপ। প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্বের মাঝে আগের মৌসুমের সেরা চার দলকে নিয়ে হবে কোটি টাকার সুপার কাপ। লিগ শেষে মাঠে গড়াবে স্বাধীনতা কাপ। যেখানে শুধুমাত্র স্থানীয় ফুটবলাররাই খেলবেন।
এছাড়া বিসিএলে দল সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে লিগ কমিটি। একইসঙ্গে লিগের বাইরে আলাদা একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা ভাবছে তারা।