ইউরোপসেরার লড়াইয়ে এর আগে পাঁচ বার মুখোমুখি লড়াইয়ের জিততে পারেনি ম্যানইউ-ভিয়ারিয়াল কেউ। আজ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘরের মাঠে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সেই ধারাবাহিকতাই হতে যাচ্ছিল। তবে তা হতে দেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। জাদু দেখালেন একেবারে অন্তিম মুহূর্তে৷ অতিরিক্ত সময়ে গোল করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৭৮ ম্যাচ খেলার রেকর্ড সঙ্গী করে আজ মাঠে নামেন রোনালদো। পেছনে ফেলেছেন একসময়ের সতীর্থ রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তী ইকার ক্যাসিয়াসকে। রেকর্ডের ম্যাচ শেষ মুহূর্তে কী দারুণভাবেই না রাঙালেন পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী রোনালদো।
তবে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ম্যানইউ রক্ষণের ক্রমাগত পরীক্ষা নিয়েছে ভিয়ারিয়াল। প্রথমার্ধে ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি স্প্যানিশ ক্লাবটি। ভিয়ারিয়ালের বারবার হতাশার মাঝে এদিন ইউনাইটেডের রক্ষাকর্তা হয়েছেন গোলরক্ষক ডেভিড দি হিয়া।
কয়েকটি দারুণ সেভ করে ভিয়ারিয়ালকে এগিয়ে যেতে দেননি হিয়া। এ সময় বেশ নিষ্প্রভ ছিল ম্যানইউর আক্রমণভাগ। রোনালদো প্রথমার্ধে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ভিয়ারিয়ালের একের পর আক্রমণে এই সময় পাল্টা আক্রমণনির্ভর ফুটবল খেলে ওলে গুনার শুলশারের শিষ্যরা।
প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে ম্যানইউ গোলরক্ষক হিয়াকে অনেকটা একা পেয়েও গোল করতে পারেননি ভিয়ারিয়াল মিডফিল্ডার টিয়েন ক্যাপো। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরেকটি সহজ সুযোগ পায় ভিয়ারিয়াল। এবারও ম্যানইউর রক্ষাকর্তা হিয়া। গোলশূন্য প্রথমার্ধে ভিয়ারিয়ালের চেয়ে বল পজিশনে এগিয়ে থাকলেও গোল পোস্টে মাত্র একটি শট রাখতে পেরেছিল ম্যানইউ।
অন্যদিকে পোস্টে চারটি শট নিয়েও গোলের দেখা পায়নি ভিয়ারিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য সেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় তারা। ৫৩ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে গোল করেন স্ট্রাইকার পেকো আলসেসার। এই গোল ফিরিয়ে দিতেও অবশ্য বেশি সময় নেয়নি ইউনাইটেড। ৬০ মিনিটে ফার্নান্দেজের ফ্রি কিক বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত এক ভলিতে ম্যান ইউকে সমতায় ফেরান ডিফেন্ডার অ্যালেক্স টেলেস।
দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময়ে আরও কয়েকটা সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোনো দল। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে রোনাদোর গোলেই ঘরের মাঠে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানইউ।
মজাটা হচ্ছে রোনালদো গোল করলেন 'ফার্গি টাইমে'৷ সেই গোল দেখে স্যার ফার্গুসনের (যার নামে ফার্গি টাইম) আনন্দ দেখে কে!