সারা বিশ্বের ফুটবল সমর্থকদের চোখ আজ কাতারের রাজধানী দোহায়। রাতে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে ফুটবলের রাজা পেলে আর রাজপুত্র ম্যারাডোনার উত্তরসূরিরা মাঠে নামবেন। হারলে থেমে যাবে কাতার বিশ্বকাপের অভিযান। জিতলে ৩২ বছর পর বিশ্বকাপে দেখা যাবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াই।
এর আগে শেষ আটের লড়াই টপকাতে হবে দুই দলকে। দুই লাতিন আমেরিকান পরাশক্তির বিপক্ষে লড়বে ইউরোপের দুই শক্তিশালী দল ক্রোয়েশিয়া ও নেদারল্যান্ডস। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও শক্তির বিচারে আর্জেন্টিনার সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।
শেষ বিশ্বকাপ রাঙাতে প্রত্যয়ী মেসি এরই মধ্যে তিন গোল করে এগিয়ে যাচ্ছেন দুরন্ত গতিতে। তাঁর সতীর্থরাও জানিয়েছেন, মেসির জন্য সব উজাড় করে দিতে প্রস্তুত তাঁরা। ভার্জিল ফন ডাইক, মাথিয়াস ডি লিখট, নাথান আকেদের নিয়ে ডাচদের যে রক্ষণপ্রাচীর, তা ভেদ করা কঠিন ব্যাপার হতে পারে আলবিসেলেস্তেদের জন্য।
২০১৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনাল খেলেছিল আর্জেন্টিনা। তবে আবার টাইব্রেকার পর্যন্ত যেতে চান না স্কালোনি। গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে পেনাল্টি অনুশীলন প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার কোচ বললেন, ‘পেনাল্টির অনুশীলন সব সময় হয়। কিন্তু খেলার দিন পেনাল্টি কিক নেওয়াটা আলাদা। তবে আমরা সে পর্যন্ত যেতে চাই না। যত দ্রুত খেলা শেষ করা যায়।’
টানা ১৯ ম্যাচে অপরাজিত নেদারল্যান্ডস। ডাচদের নিয়ে স্কালোনির মূল্যায়ন, ‘নেদারল্যান্ডস খুবই ভারসাম্যপূর্ণ দল, যেখানে সবাই রক্ষণে ও আক্রমণে যায়। এটাই এখনকার ফুটবলের সারাংশ।’
আনহেল দি মারিয়া ও রদ্রিগো দি পলের খেলা নিয়ে স্কালোনি বললেন, ‘তারা (দি মারিয়া ও পল) ঠিক আছে। অনুশীলনে তাদের দেখে লাইন-আপ ঠিক করব। গতকাল আমরা আড়ালে অনুশীলন করেছি এবং আমি জানি না তথ্যটা কোত্থেকে এসেছে। সত্যিটা হলো, ম্যাচের পর সব সময়ই খেলোয়াড়েরা আলাদা বা কিছু সময়ের জন্য অনুশীলন করে। কীভাবে খেলতে চাই সেটার ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেব আমরা।’