১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মিডলসব্রো ২-২ গোলে ড্র করে নিউক্যাসলের সঙ্গে। এই ম্যাচ বিশেষভাবে মনে রাখার মতো কিছু নয়। তবে ভিন্ন এক কারণে এই ম্যাচকে মনে রেখেছেন ফুটবল সমর্থকেরা। সেদিন মিডলসব্রোের মিডফিল্ডার পল জন গ্যাসকোইনের জন্য নগ্ন হয়ে মাঠে নেমে এসেছিলেন দুই নারী। সেই দুই নারী ছিলেন রাচেল স্যাডলার ও তাঁর বান্ধবী ভেনেসা রিচার্ডস। সেই ঘটনার কয়েক বছর পর মারা যান ভেনেসা। তবে এখনো মাঝে মাঝে সেই ঘটনা নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে হয় রাচেলকে।
সেই আলোচিত ঘটনার প্রায় ২৩ বছর পেরিয়ে গেছে। সেদিন দুই নারীর ঊর্ধ্বাঙ্গ পুরোপুরি অনাবৃত ছিল। মাঠে নেমে তাঁদের লক্ষ্য ছিল গ্যাসকোইনের (গাজ্জা নামে অধিক পরিচিত ছিলেন) কাছাকাছি যাওয়ার। পরদিন সান স্পোর্ট শিরোনাম করেছিল, ‘অল দ্য ব্রেস্ট গাজ্জা’। তবে এত দিন পরও সেই ঘটনা নিয়ে আক্ষেপ নেই ৪১ বছর বয়সী রাচেলের। বরং সেটিকেই তাঁর জীবনের সবচেয়ে সেরা অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন তিনি। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরের সেই দিনে ফিরে গিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাচেল বলেন, ‘আমাদের বয়স তখন ১৮-১৯ বছর। আমি প্রচারের আলোয় আসতে চাইছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম, প্রচুর প্রচার পাব।’
কীভাবে এমন কাণ্ড করার সাহস পেয়েছেন জানাতে গিয়ে রাচেল বলেন, ‘আমি তখন স্ট্রিপার হিসেবে কাজ করতাম। যদি আমি এ ধরনের কাজ না করতাম, তবে এমন কিছু করার আত্মবিশ্বাস আমার কখনো আসত না। ভেনেসা প্রথমে দৌড়ে যায়, আমি কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ভাবলাম, যদি এখন না যাই, তবে আমি কখনো আর এটা করতে পারব না।’
‘আমি মাঠে ঢুকতে গিয়ে বিজ্ঞাপন বোর্ডের ওপরে গিয়ে পড়েছিলাম। সব ক্যামেরা তখন ভেনেসার ওপর নিবদ্ধ। আমার ছবি শুধু পেছন থেকে দেখা যাচ্ছিল। তবে আমি আমার স্তনের ঝাপসা কিছু ছবি পরে দেখেছি।’ যোগ করেন রাচেল।
যাঁকে উদ্দেশ্য করে এই কাণ্ড করেছেন, সেই গাজ্জার অনুভূতি তখন কেমন ছিল জানাতে গিয়ে রাচেল বলেন, ‘গাজ্জা পেছনের দিকে দৌড়াচ্ছিল। হাত নেড়ে হেসে বলছিল, “দয়া করে আমার সঙ্গে এটা কোরো না।” ভেনেসা লাফিয়ে তার পিঠে পড়ার চেষ্টা করছিল।’
রাচেল ও ভেনেসা প্রচার পাওয়ার যে উদ্দেশ্যে কাজটি করেছিলেন, তাতে পুরোপুরি সফল হয়েছিলেন। পরদিন দৈনিক পত্রিকার প্রথম পাতায় তাঁদের ছবি ছাপা হয়েছিল। রাচেল বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য ছিল। রিপোর্টাররা আমাদের ফোন করতে শুরু করে। এরপর আমরা স্কাই ওয়ানে শো ‘দ্য গিল্টি শো’তেও গিয়েছিলাম।’