জেনিফার হারমোসোকে চুমু দিয়ে আলোড়ন তোলেন স্প্যানিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান লুইস রুবিয়ালেস। শুরু থেকেই বেশ সমালোচনা হয় রুবিয়ালেসকে নিয়ে। পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা গেলেও এই পদেই তিনি থেকে যাচ্ছেন। তাতে চটেছে স্পেনের বিশ্বজয়ী নারী ফুটবল দল।
স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) এক বিশেষ সভায় গতকাল রুবিয়ালেস জানিয়েছেন যে তিনি পদত্যাগ করবেন না। কেননা, পদত্যাগ করতে এটাকে (হারমোসোকে চুমু) তিনি যথেষ্ট গুরুতর কিছু মনে করছেন না। হারমোসো এটাকে বরং সম্মতিমূলক চুমু বলে দাবি করেছেন। এরই প্রতিবাদে ফুটবলারদের সংগঠন ফুটপ্রোর মাধ্যমে হারমোসো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ছবিতে আপনারা যা দেখছেন, সেই ব্যাপারে আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই। তিনি যে চুমু দিয়েছেন, তাতে আমার কোনো সম্মতি ছিল না। আমার কথা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে কিছুতেই তা সহ্য করব না।’ হারমোসোর বিবৃতির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন স্পেনের বিশ্বজয়ী ২৩ ফুটবলার। রুবিয়ালেস দায়িত্বে যত দিন থাকবেন, তত দিন তাঁরা জাতীয় দলে ফিরবেন না। তাঁদের সঙ্গে আরও সাবেক ৫৮ ফুটবলারও জাতীয় দল বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
স্পেনের ক্রীড়া পরিষদের (সিএসডি) ভিক্টর ফ্রাঙ্কোস জানিয়েছেন, রুবিয়ালেসকে ছাঁটাই করতে তাঁরা দেশটির প্রশাসনিক ক্রীড়া আদালতের (টিএডি) সাহায্য নিচ্ছেন। ফ্রাঙ্কোস বলেছেন, ‘রুবিয়ালেস যা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা যথেষ্ট নয়। সেটার জন্য আমি ফুটবলারদের কাছে ক্ষমা চাইছি। সিএসডি অথবা এর সভাপতি রুবিয়ালেসকে দায়িত্বচ্যুত করতে পারবে না। আমি কাউকে বরখাস্ত করতে পারব না। তবে আমরা এটা টিএডিকে জানাতে পারি। টিএডি এরপর তা ভেবে দেখবে।’
স্পেন, ইংল্যান্ড দুই দলই নারী ফুটবলে প্রথম শিরোপাজয়ের লক্ষ্যে গত রোববার সিডনির স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় মুখোমুখি হয়েছিল। ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০২৩ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ফাইনালে শেষ বাঁশি বাজার পরই আনন্দ উদ্যাপনে মেতে ওঠেন স্প্যানিশ ফুটবলারেরা। হারমোসোর ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসেন রুবিয়ালেস। মুহূর্তে এই দৃশ্য ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় তিনি ক্ষমাও চেয়েছিলেন।