যে ক্লাবটি মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় সর্বকালের সেরা, তারা দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ লিগেও সবার ওপরে থাকবে; এটাই স্বাভাবিক। রিয়াল মাদ্রিদের ১৩টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার সঙ্গে ৩৫ বার স্প্যানিশ লা লিগার খেতাব সে কথাই বলছে।
মাদ্রিদের পরাশক্তিরা এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে। তার আগে ঘরোয়া শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। নিজেদের ডেরা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গত রাতে এস্পানিওলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে রিয়াল। সেটিও চার ম্যাচ বাকি রেখে।
অথচ কয়েক বছর আগেও দৃশ্যটা ছিল বিপরীত। ২৬টি লিগ শিরোপা জিতে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। এই শতাব্দীতে সবচেয়ে বেশি জয় তো বটেই, আগের দশকেও লা লিগায় রাজত্ব করেছে বার্সা।
অথচ মেসি থাকাকালীন লা লিগা শিরোপাকে ‘মুড়ি-মুড়কি’ বানিয়ে ফেলেছিল কাতালান পরাশক্তিরা। ২০১৯ সালে শেষবার স্পেনের সেরা হওয়ার পর এ নিয়ে ‘অমর বাণীতুল্য’ সতর্কবার্তাও দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
গতকাল রিয়াল ট্রফি নিয়ে উৎসব শুরু করার পর মেসির ৩ বছর আগের বাণী ফের মনে করিয়ে দিয়েছে ইএসপিএন এফসি। ক্রীড়া বিষয়ক প্রভাবশালী এই সংবাদমাধ্যম মেসির উদ্ধৃতি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছে। মেসি বলেছিলেন, ‘লা লিগাকে আমাদের মূল্যায়ন করা উচিত। গত ১১ বছরে আমরা ৮টি শিরোপা জিতেছি। খুব সম্ভবত এ কারণে আজ এটিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিচ্ছি না। কিন্তু কয়েক বছর পরই আমরা উপলব্ধি করব এই শিরোপা জেতা কতটা কঠিন ছিল।’
মেসি বার্সা ছাড়ার পর ক্লাবের দুর্দশা আরও বেড়েছে। জাভি হার্নান্দেজকে কোচ করে আনার পর ক্লাবটি ঘুরে দাঁড়ালেও শিরোপা জয়ের মতো অবস্থায় যেতে পারেনি। অথচ মেসি পিএসজির হয়ে অভিষেক মৌসুমেই ফরাসি লিগ ওয়ান শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন।
জার্মান বুন্দেসলিগাতেও শিরোপার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। টানা ১০ মৌসুম লিগ শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
কে জানে, বায়ার্ন ও পিএসজি নিজেদের শীর্ষ ঘরোয়া লিগকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিচ্ছে বলেই হয়তো এতটা সফল!