১২৭ রান, ১৫ উইকেট, ৪.৫৬ রানরেট—একটা ম্যাচ কতটা ম্যাড়মেড়ে হতে পারে, এই পরিসংখ্যানে স্পষ্ট। ম্যাড়মেড়ে এই ম্যাচটিই হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ফাইনাল। তবে সিলেটে এমন ফাইনাল দেখতে আসেননি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম মৌসুমের ফাইনালে আজ মুখোমুখি হয়েছে রংপুর-ঢাকা মহানগর। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি দেখতে আসার কথা ছিল ফারুকের। কেন তিনি (ফারুক) আসতে পারেননি, সেটার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ফাইনাল শেষে গণমাধ্যমকে বিসিবির চীফ কো-অর্ডিনেটর অব প্রোগ্রাম বলেন, ‘আসার কথা ছিল। আমি যতটুকু জানি যে শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বা দেরি হওয়ার কারণে তিনি ম্যাচটা দেখতে পারেননি। এটার জন্য।’
ভক্ত-সমর্থকেরা যেমন ধুমধাড়াক্কা ফাইনালের আশা করেছিলেন, ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে হয়েছে ১১ চার ও ১ ছক্কা। ফাইনাল ম্যাচটা কেন এমন হলো, সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের নান্নু বলেন, ‘(এনসিএল টি-টোয়েন্টি) ১০০ দেওয়া যাবে না। ১০০ তে ৯০ দিতে হবে। কারণ, ফাইনাল ম্যাচটা উইকেটের স্ট্যান্ডার্ডের কারণে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখানে প্রতিদিন দুই জায়গায় চারটা করে ম্যাচ হয়েছে। তো সেই হিসেবে অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিল এই উইকেটটা। সব মিলিয়ে তারপরও আমি বলব, উইকেটটা যতটুকু চ্যালেঞ্জিং ভেবেছিলাম, তার থেকে যথেষ্ট ভালো আচরণ করেছে। যদিও ফাইনাল ম্যাচটা লো স্কোরিং হয়েছে।’
দেশীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত এনসিএলের প্রথম মৌসুমে ব্যাটিং-বোলিংয়ের ভারসাম্যপূর্ণ লড়াই দেখা গেছে। পুরো টুর্নামেন্টে ৭.৭৫ ইকোনমিতে রান উঠেছে। ৭২৩ চার ও ৪১৮ ছক্কা হয়েছে। নাঈম শেখ, নুরুল হাসান সোহানদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করেছেন জিসান আলম, আজিজুল হাকিম তামিমের মতো তরুণরা। এমন টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উন্নয়নে বেশ কাজে দেবে বলে জানিয়েছেন নান্নু। বিসিবির চীফ কো-অর্ডিনেটর অব প্রোগ্রাম বলেন,
‘সব মিলিয়ে আমি বলব, অনেক ফিডব্যাক আছে। অনেক খেলোয়াড়কে নির্বাচক প্যানেল জায়গা করে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্ট যদি চালিয়ে যেতে পারি, ইনশা আল্লাহ টি-টোয়েন্টি সংস্করণে যে ঘাটতিটা আছে, সেটা আমরা পূরণ করতে পারব।’
আরও পড়ুন: