হোম > জাতীয়

ঢাকায় এসে ২০ জুলাইযোদ্ধার দৃষ্টিশক্তি ফেরালেন ব্রিটিশ চিকিৎসকেরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ঢাকায় অন্তত ২৪ জন আহত ব্যক্তির চোখে অস্ত্রোপচার করেছেন ব্রিটিশ চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ শল্য চিকিৎসক ঢাকায় এসেছিলেন। তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মূলত গত বছরের জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় চোখে আঘাত পাওয়া আন্দোলনকারীদের সুচিকিৎসা দেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে ব্রিটিশ চিকিৎসকেরা অন্তত ২০ জন জুলাইযোদ্ধার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের একটি বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতালের শল্যচিকিৎসকেরা গত বছরের গ্রীষ্মে বাংলাদেশে আন্দোলন চালাকালে আহত ২০ জনের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর দৃষ্টি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছেন।

মুরফিল্ডস আই হসপিটালের পরামর্শক চক্ষু বিশেষজ্ঞ মাহি মুকিত এবং নিয়াজ ইসলাম গত মাসে ঢাকা সফর করেন। এ সময় তাঁরা ১৪ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১৫০ জন রোগীর পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় ওই রোগীদের চোখে গুলির আঘাত লাগে। তাদের বেশির ভাগই গত বছর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

মুরফিল্ডসের জ্যেষ্ঠ ভিটেরিওরেটিনাল পরামর্শক মাহি মুকিত বলেন, ‘এই মানুষদের সাহায্য করার জন্য আমন্ত্রিত হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এটি আমাদের সবার জন্য এক ব্যাপক অভিজ্ঞতা ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাদের দৃষ্টি মাসখানেক ধরে ক্ষীণ ছিল, তাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারাটা এক বিশেষ সুযোগ।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসকেরা দুই দিনে ২৪ জন রোগীর দৃষ্টি ফেরাতে অস্ত্রোপচার করেন। এ ছাড়া, যাদের অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়নি, তাদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে।

মাহি মুকিত জানান, তিনি যেসব রোগীর চিকিৎসা করেছেন তাঁদের মধ্যে একজনের নাম রোহান। তাঁর দুই চোখেই গুলি লেগেছিল। তিনি বলেন, ‘তাঁর দুই চোখই অন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যার মধ্যে একটি চোখের অবস্থা ছিল একেবারে আশাহীন। অন্য চোখে আমাদের অস্ত্রোপচার তাঁর রেটিনাল ডিটাচমেন্ট বা রেটিনার বিচ্যুতি ঠিক করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু সরিয়ে ফেলেছে। আমরা আশা করছি, অস্ত্রোপচারের পর তাঁর দৃষ্টি ক্রমশ উন্নত হবে।’

বিশেষজ্ঞরা আরও জানতে পারেন যে, মিনহাজ নামের ২০ বছর বয়সী এক রোগীর চোখে গত জুলাইয়ের ঢুকে পড়া বুলেট এখনো রয়ে গেছে। সেগুলো অপসারণ এবং এর ফলে চোখের যে ক্ষতি হয়েছে, তা সারিয়ে তোলার জন্য অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়।

অনুমান করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিক্ষোভকালে প্রায় ১ হাজার মানুষ কোনো না কোনো ধরনের চোখের আঘাতে ভুগেছেন। ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইওএইচ) প্রায় ৭০০ জন জরুরি চিকিৎসা নিয়েছেন।

আরও খবর পড়ুন:

ব্যালটের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এসপিরা

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

জিয়া পরিবারের আর কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবে না: রিজওয়ানা হাসান

পোস্টাল ভোট গণনায় সংশোধনী ও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন হবে ঐতিহাসিক—নতুন এসপিদের প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, জানাল কাতার সরকার

তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ ১০ ডিসেম্বর

নির্বাচনে পুলিশকে নিষ্ঠা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

শাশুড়িকে লন্ডনে নিয়ে যেতে ঢাকায় আসছেন জোবাইদা রহমান