কানাডা ও আমেরিকায় শেষ হলো ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ছবির প্রদর্শনী। দীর্ঘ বিরতির পর প্রেক্ষাগৃহে ফিরল বাংলাদেশের সিনেমা, ফিরল বাংলাদেশের সিনেমার দর্শক। কোনো সন্দেহ ছাড়াই আমি বলতে পারি, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা ভাষায় সবচেয়ে সুনির্মিত আধুনিক প্রেমের সিনেমা ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। প্রেম বা ভালোবাসার সম্পর্ক কোনো কাচের যুগের বিষয় নয় যে ইচ্ছেমতো ভেঙে গেল বা ফেললাম। ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ সিনেমাটির মূল বিষয় এটিই। অয়ন আর নীরা তাদের নিঃশ্বাসের বিয়ে দেয় এবং প্রতিজ্ঞা করে, তাদের দুজনের অর্ধেকটা দম মিলেমিশে এক হয়ে যাবে। তাই এর মাঝে একজন যখন আর একসঙ্গে নিঃশ্বাস নেয় না, অর্ধেকটা দম নিয়ে দিনের পর দিন আরেকজনের অস্বস্তিকর যন্ত্রণা হয়, জন্ম নেয় সঙ্গীকে ফিরে পাওয়ার ব্যাকুল অস্থিরতা,
‘অর্ধেকটা দম নিয়ে আমি
দিনের পর দিন বসে থাকি,
বাকিটা একসাথে নেব বলে’
কানাডা ও আমেরিকায় ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’-এর মুক্তি বেশ কিছু অসাধারণ ও অভাবনীয় ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এ সিনেমা এখন পর্যন্ত উত্তর আমেরিকায় সবচেয়ে বড় থিয়েট্রিক্যাল রিলিজ পাওয়া বাংলাদেশি সিনেমা। নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের ফ্ল্যাগশিপ কোনো সিনেমা থিয়েটারে মুক্তি পাওয়া প্রথম কোনো বাংলাদেশি সিনেমা। উত্তর আমেরিকার দর্শকদের সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পাওয়া বাংলাদেশি সিনেমা।
মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব সপ্তক
বাংলাদেশি ছবির বিশ্ব পরিবেশক কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর প্রেসিডেন্ট