বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে লড়াই করেছে দুটি প্যানেল। ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। অন্যদিকে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান। নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে দুই প্যানেলের বিভেদ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ২৮ জানুয়ারি ভোট শেষে একের পর এক সংবাদ সম্মেলন আর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তাপ ছড়িয়েছেন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা।
গতকাল ৩০ জানুয়ারি রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় গিয়েছেন নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেলের বিজয়ীরা। নেতৃত্বে দিয়েছেন জায়েদ খান। এ সময় জায়েদ খানের সঙ্গে ছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, মৌসুমী, অরুণা বিশ্বাস, সুচরিতা, আলিরাজ প্রমুখ। অথচ সেখানে ছিলেন না নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনসহ তাঁদের প্যানেলের কেউ। জায়েদ খান জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলেন তাঁরা।
সহসভাপতি পদে জয়ী মনোয়ার হোসেন ডিপজল একটি ছবি শেয়ার করে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘নবনির্বাচিত শিল্পী সমিতির সদস্যবৃন্দ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাহেবের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ।’
নবনির্বাচিত শিল্পী সমিতির সদস্যদের মাঝে ইলিয়াস কাঞ্চন না থাকায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তিনি বলেন, ‘নবনির্বাচিতরা এখনো শপথ গ্রহণ করিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বও বুঝে নিইনি। তাই নবনির্বাচিত সমিতি বলা ঠিক হবে না। ওরা ওদের (প্যানেল) মতো সাক্ষাৎ করেছে হয়তো। এখানে আমার বলার কিছু নেই। যেদিন দায়িত্ব গ্রহণ করব, সেদিন থেকে সমিতির বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলব।’