গাইবান্ধার সাঘাটায় সুমনা নামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে এ ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলাবাসীর মাঝে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া সুমনাকে একনজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন।
আজ দুপুরে সরজমিন দেখা যায়, বাড়িতে কয়েক শ উৎসুক মানুষের ভিড়। সবাই কৌতূহল নিয়ে সুমনাকে দেখছে। সুমানার দাদি দৌলত নেছা জানান, বেশ কয়েক দিন আগেই তার শারীরিক পরিবর্তনের কথা গোপনে সুমানা তাকে জানায়। এ জন্য ২৩ মে সে স্কুলে যায়নি।
সুমনার মা লাভলী বেগম জানান, তাঁর ছেলেসন্তান নেই, তিন মেয়ে। এর মধ্যে সুমনা সবার বড়। পাশের ঝাড়াবর্ষা উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। দুই দিন আগে তিনি সুমনার দাদির কাছ থেকে লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি জানতে পারেন। প্রথমে বিশ্বাস না করলেও পরে বিশ্বাস করেন। আল্লাহ তাঁর মেয়েকে ছেলে বানিয়ে দেওয়ায় তিনি খুশি।
এ বিষয়ে সুমনা বলে, ‘আমার কোনো ভাই ছিল না। তিন বোন ছিলাম। তিন বোনের মধ্যে থেকে একজন ভাই হওয়ায় আমি খুশি।’
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের দেশে মাঝেমধ্যেই ছেলে থেকে মেয়ে, আবার মেয়ে থেকে ছেলে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এটা সাধারণত হরমোন পরিবর্তনের কারণে ঘটে। তবে এই সুমনার ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে এবং কেন ঘটেছে—তা বাস্তবে না জেনে বলা যাবে না। হাসপাতালে এলে দেখে এ বিষয়ে জানা যাবে।’