হোম > সারা দেশ > নীলফামারী

তিস্তার পানি বেড়ে ডিমলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

উজান তথা ভারত থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তার ৪৪ জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তিস্তার পানি বেড়ে গিয়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি আরও বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবো ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারী বৃষ্টিপাত আর ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে আজ সকাল ৯টায় ৫২ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ১২টায় ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। আর দশমিক ৫ সেন্টিমিটার উঠলেই এটিকে বিপৎসীমার ওপরে ধরা হবে।

এদিকে তিস্তার পানি বাড়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তাপারের চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তাতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি চরের বাসিন্দারা। ডুবে গেছে বোরো ফসলের খেত।

উপজেলার কিসামত চরের বাসিন্দা কৃষক আরিফুল ইসলাম (৩৫) আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ ভোর থেকে বাড়িঘরে নদীর পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় চরের অনেক পরিবার তাদের মালপত্র সরিয়ে নিরাপদে নিয়ে যাচ্ছে।

সোনাখুলি এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান (৫০) বলেন, ‘গ্রামটি তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে হওয়ায় পানি বাড়লেই বন্যায় আক্রান্ত হতে হয়। আজ সকালে গ্রামে নদীর পানি ঢুকেছে। ঘরের ভেতরে এখন তিস্তার পানি। নদীতে আরেকটু পানি বাড়লে আসবাবপত্র ও গবাদি পশু নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে।’

ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী বলেন, পানি বাড়ায় তিস্তাপারের মানুষ বন্যার আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তাঁর ইউনিয়নের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। অনেক ফসলের খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

ডালিয়া পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাশেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, উজানের ঢল আর বর্ষণে তিস্তায় পানির প্রবাহ বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও পানি ছুঁইছুঁই করছে। যেকোনো সময় পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিপাতে পানি বাড়ার ফলে উপজেলার সব নদ-নদীর পানির পাশাপাশি বিলের পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত আছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেই সঙ্গে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি, বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল। 

ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আব্দুস সবুর মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় ডিমলা উপজেলায় ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ শনিবার রংপুর বিভাগসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

নীলফামারীতে পুকুরে মিলল ব্যাংকের ভল্ট

হাইড্রোসেফালাসে আক্রান্ত আয়শার চিকিৎসা বন্ধ, অর্থাভাবে মানবেতর জীবন

জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ঘোড়ার মৃত্যুতে দিশেহারা হালিমার পরিবার

লাভের আশায় লোকসানে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা

মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন সৈয়দপুরের এক কলেজের ৪৫ শিক্ষার্থী

ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবি

ময়দা দিয়ে তৈরি হতো ওষুধ, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

রেলওয়ের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ, প্রকৌশলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ইটভাটায় কৃষিজমির মাটি ব্যবহার, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

বাংলাদেশ এখন অস্থির সময় পার করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা