নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের হরিয়াল প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন উম্মে খাইরুন ফাতিমা (৪০)। গতকাল রোববার সকালে এম এল আফসার উদ্দিন লঞ্চে করে স্বামী আবু তাহের সরকারের সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের পিটিআই ট্রেনিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন ফাতিমা। সেখানে কাজ শেষে সোনারগাঁওয়ের নিজ বাড়িতে ফেরার কথা ছিল তাঁর। মায়ের ফেরার অপেক্ষায় ছিল তাঁর দুই সন্তান। কিন্তু তাদের মা আর জীবিত ফেরেনি, ফিরেছেন লাশ হয়ে।
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর আজ সোমবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে নদী থেকে ফাতিমার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ফাতিমার ভাই মো. জুলফিকার হোসেন মরদেহ শনাক্ত করেন। এ সময় তিনিসহ উপস্থিত স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জুলফিকার জানান, বন্দরের রামগড় ইউনিয়নে তাঁর বাবার বাড়ি। ফাতিমার আতিফ (১৫) আর মাহফুজ (১৩) নামে দুটি সন্তান রয়েছে।
জুলফিকার আরও বলেন, ‘রোববার সারা দিন-রাত এখানেই ছিলাম। মুন্সিগঞ্জ হাসপাতাল, ভিক্টোরিয়া হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। কোথাও পাওয়া যায়নি। আজকে মাত্র এখানে এসে বসলাম। এখনই লাশটা পাওয়া গেল।’ এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জুলফিকার।
ফাতিমার ভাই জানান, ফাতিমার স্বামী আবু তাহের সরকার সোনারগাঁওয়ের কাজী ফজলুল হক মহিলা কলেজের যুক্তিবিদ্যার শিক্ষক। তাঁরা দুজনই গতকাল মুন্সিগঞ্জের পিটিআই ট্রেইনিং সেন্টারে কাজে যাচ্ছিলেন। আবু তাহের সম্পর্কে জুলফিকার বলেন, ‘তাঁর মাথায় এবং হাতে মারাত্মক জখম হয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।’