হোম > সারা দেশ > খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড বাড়িঘর-স্কুল

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি 

কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর। ছবিটি আজ মঙ্গলবার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা পুনর্বাসনপাড়া এলাকা থেকে তোলা। আজকের পত্রিকা

বৈশাখের প্রথম দিনে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার ঝড়ে ৪৫টি ঘর ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার আলুটিলা পুনর্বাসনপাড়া, চৌদ্দকরপাড়া ও হৃদয় মেম্বারপাড়ার ওপর দিয়ে এই কালবৈশাখী আঘাত হানে। ঝড়ের কবলে পড়ে পাড়া তিনটির ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বহু পরিবার বৈসু উৎসব পালন করতে পারেনি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাঁশ, টিন দিয়ে তৈরি বহু ঘরের চাল উড়ে মাটিতে পড়ে আছে। ঘর মুচড়ে ফেলে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ঘর মেরামত করছে। ঘরের কাপড়সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী রোদে শুকাচ্ছে। ঘরে অবস্থান করার কোনো পরিবেশ নেই। তাঁরা আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে কোনোরকমে ঘর মেরামত করে থাকছেন। তবে বৃষ্টি এলে তাঁদের ঘরে থাকার ব্যবস্থা নেই।

সুভাষ ত্রিপুরা নামের একজন বলেন, ‘আমরা জুমচাষ করে খাই। নতুন ঘর তুলেছি দুই সপ্তাহ হয়েছে। বাতাস ও ভারী বৃষ্টিতে ঘরটি ভেঙে পড়ে গেছে। রাতে খোলা ঘরে ঘুমাতে হবে। বৈসু উৎসব করতে পারিনি।’

কিরণ ত্রিপুরা ও নয়ন ত্রিপুরা জানান, তাঁদের বাঁশ, গাছ ও টিন কিনতে হবে, কিন্তু টাকা নেই। ঘরে চালও নেই। গতকাল থেকে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।

আলুটিলা পুনর্বাসনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুল ভবনের অর্ধেক অংশের চাল উড়ে গেছে। বই-খাতা, ফ্যান, সোলার প্যানেল, বোর্ডসহ আসবাব নষ্ট হয়ে গেছে। আগামীকাল স্কুল খুলতে হবে, কিন্তু ক্লাস নেওয়ার মতো পরিবেশ নেই। বিষয়টি মাটিরাঙ্গা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

বৈশাখী ঝড়ে আলুটিলা পুনর্বাসনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চাল মাটিতে পড়ে আছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

আলুটিলা পুনর্বাসনপাড়ার কারবারি সূর্যকিরণ ত্রিপুরা বলেন, ‘গতকাল বিকেলে শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বাতাসে আমাদের পাড়ার ২৬টি ঘর ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

মাটিরাঙ্গার ৬ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য শান্তিময় ত্রিপুরা বলেন, ‘ঝড়ে আলুটিলা পুনর্বাসনপাড়া, চৌদ্দকরপাড়া ও হৃদয় মেম্বারপাড়ায় ৪৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন গ্রামের অনেক মানুষ বৈসু উৎসব পালন করতে পারেননি। দুই দিন ধরে অনেক পরিবার ভাত খেতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে জমা দিয়েছি।’

এদিকে পুনর্বাসনপাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দুপুরে পরিদর্শনে যান মাটিরাঙ্গার ইউএনও মনজুর আলম। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের তালিকা পেয়েছি। সরেজমিন দেখলাম। আগামীকাল (বুধবার) ক্ষতিগ্রস্তদের চাল দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে সহায়তা করা হবে।’

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা নিয়ে ইউএনও কাজ করছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের কী করা যায়, দেখছি।’

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ, মাঠে ঘুরছে শিক্ষার্থীরা

নিজের কিডনি দিয়েও স্বামীকে বাঁচাতে পারলেন না ফাতেমা

পাহাড় থেকে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি নির্মূল করা হবে: রিজিয়ন কমান্ডার

হারিয়ে যাচ্ছে ডোলের ব্যবহার

খাগড়াছড়িতে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ

চাঁদাবাজির অভিযোগে ইউপিডিএফের সদস্যকে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি: বাড়ি বাড়ি কয়লার চুল্লি

খাগড়াছড়িতে দোকানে রাঙামাটির যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ, পকেটে চিরকুট

পানছড়িতে ইউপিডিএফের হয়ে চাঁদা আদায়কারী আটক

খাগড়াছড়িতে ড্রেন থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার