হোম > সারা দেশ > ঢাকা

পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হঠাৎ মুগদায় মোটরসাইকেলে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ চলার সময় পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মুগদা ফুটওভার ব্রিজের নিচে দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরে পথচারী ও স্থানীয়রা আগুন নিভিয়েছেন। 

কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুগদা ফুটওভার ব্রিজের নিচে মোটরসাইকেল দুটি রাখা ছিল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুপুর ২টার একটু পরে মোটরসাইকেল দুটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

দুপুর আড়াইটার দিকে আগুনের খবর পেলেও ফায়ার সার্ভিসের কোনো ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়নি। এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান। 

এ ব্যাপারে মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘সবুজবাগ থানা এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে, এখনো জানা যায়নি।’

বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে সবুজবাগ থানার সবুজকানন এলাকার ওভারব্রিজের নিচে বেলা আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ছিল। ওই শোভাযাত্রার দুটি মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁদের ধারণা, ঢাকার বাইরে থেকে সমাবেশে আসা বিএনপি কর্মীরা এই অগ্নিসংযোগ করেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় দোকানদার সুমন নিলয় ও রাজীব আহমেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেলা আড়াইটার সময় সবুজবাগ থানা আওয়ামী ও যুবলীগের নেতারা সবুজকানন এলাকার অতীশ দীপঙ্কর সড়কে কয়েকবার বাইক শোডাউন করে ও স্লোগান দিতে থাকে। এসময় একদল লোক তাদের ধাওয়া করে সবুজকানন ফুটওভার ব্রিজের নিচে আসে।

ধাওয়া খেয়ে এলোমেলো হয়ে যায় বাইক শোডাউন এবং দুটি বাইক পড়ে যায়।  একা পেয়ে বাইক দুটিতে আগুন দিয়ে তাদের দুজনকে মারধর করা হয়। আহত দুজন মুগদা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের একজন যুবলীগ কর্মী মাসুম ওরফে জগত।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আশরাফুজ্জামান ফরিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে কর্মীদের মারধর করেছে। দুটি বাইকে অগ্নিসংযোগ করেছে। আমাদের একজন যুবলীগ কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।’

মোটরবাইকে আগুন কে দিল— এই প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমরা কাউকে চিনতে পারিনি। এরা সবাই ঢাকার বাইরে থেকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজন।’

অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘সবুজবাগ থানা এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে এখনো জানা যায়নি।’

এই ঘটনার পর থেকে সবুজকানন ওভার ব্রিজ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আশেপাশের এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে এখানে সবুজবাগ থানা ছাত্রদলের ব্যানারে মিছিল করতে দেখা গেছে। এর আধাঘন্টা পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের আবার বাইক শোডাউন দিতে দেখা গেছে।

এর আগে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখায় কর্মরত এক এডিসি নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটার আগ পর্যন্ত নিজ থেকে কিছু করব না আমরা। যদি নাশকতা কিংবা হামলার মতো পরিস্থিতি হয়, তবেই অ্যাকশনে যাবে পুলিশ।’

দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, গোলাপবাগ থেকে মুগদা স্টেডিয়ামের দূরত্ব এক কিলোমিটারের বেশি। পুরো রাস্তাজুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা, যা ছুঁয়েছে বাসাবো পর্যন্ত। স্টেডিয়ামের সামনে টিটিপাড়া চেকপোস্টে দেখা মিলল পুলিশের বড় জমায়েত। রায়ট কার, এপিসি, পানি মারার গাড়িসহ জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার সবকিছুই এখানে দাঁড় করানো। পুরো রাস্তাতেই নিরাপত্তার জন্য ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প বন্ধ

খালেদা জিয়ার জানাজা ঘিরে যেসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও ডাইভারশন

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

রাষ্ট্রীয় শোক: ঢাকায় ৩ দিন আতশবাজি, পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে বাড়ানো হলো মেট্রোরেলের ট্রিপ

হাদি হত্যা মামলা: সিবিউন-সঞ্জয়ের তৃতীয় দফায় রিমান্ড, ফয়সাল নামে আরও একজন রিমান্ডে

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের কালো ব্যাজ ধারণ

রাজধানীর রামপুরায় অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস