হোম > সারা দেশ > কিশোরগঞ্জ

সৌদি আরবের ফ্লাইট ধরা হলো না মিঠামইনের রাসেলের

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

রাসেল মিয়া (২২) রাজধানীর রামপুরায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন ২০১৮ সালে। পরিবারের আরও কয়েকজন গার্মেন্টসে চাকরি করেন। পরিবারের দারিদ্র্য ঘোচাতে চাকরির জমানো আর গৃহস্থের গরু বিক্রির টাকায় সৌদি আরব যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার ফ্লাইটে তার সৌদি আরব যাওয়ার কথা। 

তার আগে গ্রামে প্রিয়জনদের কাছ থেকে বিদায় নিতে আসেন। গতকাল সোমবার ঢাকার উদ্দেশ্যে এগারোসিন্ধুর গোধূলি ট্রেনে রওনা করেন রাসেল। কিন্তু ঢাকা পৌঁছার আগেই রেল দুর্ঘটনায় পরিবারটির স্বপ্ন মাটিতে মিশে গেল। 

ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশনের আউটার এলাকায় আন্তনগর এগারসিন্দুর ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে রাসেল মিয়াসহ ২০ জনের প্রাণহানি ও অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হন। 

এতে বাকরুদ্ধ নিহতের পরিবার। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে বার বার মূর্ছা যান বাবা–মা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১০টায় মিঠামইনের ঘাগড়া ইউনিয়নের ভরাগ্রামে দাফন করা হয়েছে। 

নিহত রাসেল মিয়া কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ভরা গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবিবের ছেলে। 

তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাসেল মিয়া সবার বড়। গ্রামের স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে পরিবারের দারিদ্র্য ঘোচাতে ৫-৬ বছর আগে ঢাকায় এসে গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছিলেন। 

নিহত রাসেলের চাচা জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে সংসারে দারিদ্র্যতা তাড়াবেন, এখন সন্তান হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বাবা। এই শোক বহনের ক্ষমতা নেই পরিবারটির।’

আরও পডুন:

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

তোপখানায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে, রাখা হবে হিমঘরে

হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

‎হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির