কক্সবাজার শহরের প্রধান নদী বাঁকখালী তীরের অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদের তৃতীয় দিনে স্থানীয় বাসিন্দা ও দখলদারদের বাধার মুখে অভিযান চালাতে পারেনি প্রশাসন। আজ বুধবার শহরের পেশকারপাড়া এলাকায় দিনভর চেষ্টার পর বিকেল ৪টার দিকে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা অভিযান বন্ধ করে ফিরে আসেন।
এ দিকে গতকাল মঙ্গলবার কস্তুরাঘাটে অভিযান চলাকালে দখলদারদের বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ সকালে কক্সবাজার সদর থানায় পুলিশের এক সদস্য বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
জানা গেছে, সকালে উচ্ছেদ শুরু করতে গেলে কয়েক শ নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। অভিযানে অংশ নেওয়া জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা দফায় দফায় স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি।
এর আগে সোমবার নদীর কস্তুরাঘাট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। দুই দিনে তিন শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৭০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার অভিযান চলাকালে দখলদারদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের এক সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশ ৪ জনকে আটক করে।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, তৃতীয় দিনে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।