চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা সোহেল চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী চালককে গ্রেপ্তার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাটহাজারী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত দারুল উলুম মাদ্রাসার সামনে, বাসস্ট্যান্ড মোড় ও কলেজ গেট এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
চার ঘণ্টার অবরোধে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কসহ উত্তর চট্টগ্রামের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস পেয়ে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, মাওলানা সোহেল চৌধুরীকে পরিকল্পিতভাবে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনা তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে তাঁরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উনাদের একজন নেতা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার ঘটনায় কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। পরে আমরা হাটহাজারী থানায় আন্দোলনকারী ও বাসমালিক উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক করি। বৈঠকে উনাদের দাবিদাওয়াগুলো পূরণে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এরপর বেলা সোয়া ১১টায় আন্দোলকারীরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।’
সকালে বিক্ষোভ চলাকালে হেফাজত ইসলামের নেতা কামরুল ইসলাম কাসেমী বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার থেকে দুর্ঘটনাস্থল রাউজান থানা আমাদের সঙ্গে প্রহসনের আচরণ করেছে। মামলা নিতে বিভিন্ন টালবাহানা করেছে। তাদের মনমতো মামলার আবেদন নিতে আমাদের প্রভাবিত করেছে।’
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাসমালিক কর্তৃপক্ষ আমাদের সহযোগিতা করেনি। অতএব বিষয়টি সুষ্ঠু সুরাহা না হওয়ায় এই অবরোধ ডাকা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলার গহিরা এলাকায় নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় মাওলানা সোহেল চৌধুরী নিহত হন।