চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জানাজার নামাজ শেষে মজলিসবিবির দীঘির পাড়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ফতেপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশ নেন। এরপর তাঁকে ফতেপুর মদনহাটের জামতলে দক্ষিণে ইসলামিয়া হাটস্থ মজলিসবিবির দীঘির পাড় নামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে লাশ তাঁর গ্রামের বাড়ি ফতেপুরের দুলাইপাড়া এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় শোকের আবহ সৃষ্টি হয় পুরো এলাকায়। শেষবারের মতো একবার তাঁকে দেখার জন্য তাঁর গ্রামের বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় জমে।
তোফায়েল আহমেদের একমাত্র জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার জাহান গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ। হৃদ্রোগের চিকিৎসার জন্য গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তোফায়েল আহমেদকে। কথা ছিল হার্টে রিং পরানোর। কিন্তু তার আগেই চিরবিদায় নিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।