পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ছিনতাই হওয়া আইফোন-১৪ প্লাস ব্রান্ডের মোবাইল ফোন আড়াই মাস পর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে জলসা মার্কেট থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়। পুলিশ জানায়, আইফোন-১৪ প্লাস ব্রান্ডের ওই মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের পর কলকাতায় ফোনের মালিক দীপান্বিতা সরকারের কাছে বুঝে দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর-পশ্চিম জোন) আলী হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে একজন ভারতীয় নাগরিকের আইফোন ১৪ প্লাস মোবাইল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় হারিয়ে গেলে তিনি সেখানকার মহেশতলা থানায় জিডি করেন। মোবাইল হারানোর কিছুদিন পরে বাদীর কাছে একটি ইমেইল যায়, তাতে হারানো মোবাইলটি চট্টগ্রাম শহরে চালু হয়েছে বলে জানানো হয়।
তখন তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিশিয়াল পেজে যোগাযোগ করে তার জিডি ও মোবাইলটি চালু করার লোকেশনটি পাঠান। মেসেজ পেয়ে সিএমপির জনসংযোগ শাখা তাঁকে আশ্বস্ত করে যে, মোবাইলটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করা হবে। এরপর মোবাইলটি উদ্ধারের দায়িত্ব পায় মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর-পশ্চিম) বিভাগ।
মোবাইলটিতে সিম প্রবেশ না করানো সত্ত্বেও নানা কৌশলে কাজ করে গোয়েন্দা বিভাগের দলটি চারজনকে শনাক্ত করে। যারা ভারত থেকে চোরাই পথে চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে এনে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন খুচরা দোকানে পৌঁছে দেয় এবং নিজেরাও খুচরা বিক্রি করে।
উপকমিশনার আলী হোসেন বলেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, এসব কাজে একটি সিন্ডিকেট জড়িত, যারা ভারতে চোরাই সব মোবাইল চট্টগ্রামে রিয়াজউদ্দিন বাজারে বিভিন্ন দোকানে পাঠায় এবং বাংলাদেশের চোরাই দামি মোবাইল ভারতের পাশাপাশি ভুটানেও পাঠিয়ে থাকে।’ সিন্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে হারানো মোবাইল ফিরে পেয়ে দ্বীপান্বিতা সরকার এক ভিডিও বার্তায় চট্টগ্রামের পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভিডিও বার্তায় দ্বীপান্বিতা বলেন, গত এপ্রিল মাসে কলকাতার জিঞ্জিরা বাজার এলাকা থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটি ছিনতাই হয়। তিনি মোবাইল ট্র্যাক করে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে সেটির অবস্থান জানতে পারেন।
‘এরপর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেসপন্স পাই। আই ক্লাউড থেকে বিভিন্ন তথ্য ফাঁসের চেষ্টা করা হতো। সেগুলোর বিভিন্ন তথ্য আমার কাছে এসএমএস আসত। আমি সেগুলো তাদের জানাতাম।’