বিপুল আমদানির পরও বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না কেন, জানতে চেয়েছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। বাজারে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জোরালো অভিযান পরিচালনার তাগিদ দিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর অলি খাঁ মসজিদ থেকে প্রেসক্লাব অভিমুখে ‘নাগরিক পদযাত্রা’ শেষে সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘ভ্যাট বৃদ্ধি, ডলার-সংকট, মজুত নেই’—এমন বিভিন্ন অজুহাতে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে কারসাজি ও কৃত্রিম সংকট বন্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ক্যাব এ কর্মসূচি পালন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘রমজান মাস সংযম ও নাজাতের মাস। অথচ এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এ মাসে মজুতদারি, কারসাজি আর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে অসহনীয় পরিবেশ তৈরি করেন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন সবকিছু জেনেও নীরবতা পালন করেন। মানুষ যে কষ্টে আছে, সেই সত্য তুলে না ধরে তাঁরা সবকিছু ঠিক আছে বলে প্রতিবেদন পাঠিয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করেন। সবকিছু যদি ঠিক থাকে, তাহলে বিপুল আমদানির পরও বাজারে সয়াবিন তেল উধাও কেন, টাকা দিয়েও কেন তেল পাওয়া যাচ্ছে না?’
বক্তারা আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ভ্যাট বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ডলার, এলসির সংকটসহ নানা অজুহাতে একবার বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট, একবার পেঁয়াজ, একবার ডাল, আটা-ময়দা—এভাবে প্রতিটি পণ্যের সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থির করে রেখেছেন। গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর অতি মুনাফা ও তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় তাঁরা সরকারের সব অর্জন ম্লান করে দিচ্ছেন।’
ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে ও মহানগর যুব ক্যাবের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন জান্নাতুল ফেরদৌস, শাহীন চৌধুরী, মিতুল দাশগুপ্ত, আবদুল আলীম, আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ জানে আলম, নুর মোহাম্মদ প্রমুখ।