চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলার পুরো ভবনটিই জ্বলছে। ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন (রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত)। আগুনের তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাছে যেতে পারছেন না। দূর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের উপপরিচালক জসীম উদ্দীন জানান, ‘আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভবনটিতে দুটি কারখানা ছিল। একটি তোয়ালে তৈরির কারখানা। অপরটিতে মেডিকেলের পোশাকসহ ইকুইপমেন্ট তৈরি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কারখানাতে কেমিক্যাল থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি।’
ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনী মিলে ২৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। দীর্ঘ সময়ের শ্রমে তারা অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। অথচ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ অবস্থায় আচমকা আকাশ থেকে বৃষ্টি নামে ওই এলাকায়। একেবারে মুষলধারায় বৃষ্টি নেমেছে বলে জানান ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তিরা।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, হঠাৎ বৃষ্টি নামায় কিছুটা স্বস্তি ফেরে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে দক্ষিণ হালিশহরে অবস্থিত ৯ তলা ভবনটিতে আগুন লাগে। সেটি আস্তে আস্তে নিচের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করছে। পরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। পরে আরও চারটি ইউনিট যোগ দেয় বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ আলী ফখরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো ভবনের সব কটি ফ্লোর তাঁদের। ওপরের দিকের ফ্লোরে লাগা আগুন নিচের দিকেও ছড়িয়ে পড়ছে।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামির হোসেন বলেন, ইপিজেডের ভেতরে একটি কারখানায় আগুন লেগেছে। সেখানে মেডিকেল অ্যাকসেসরিজ তৈরি হতো। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।