ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বড় আকারের গরুগুলোকে বস, রাজাবাবু, টাইগারবাবুসহ নানা ধরনের নাম দিয়ে থাকেন খামারিরা। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের খামারি ইউনুস মিয়া নিজের লালনপালন করা একটি ষাঁড়ের নাম রেখেছেন ‘জায়েদ খান’। ষাঁড়টির ওজন ৬০০ কেজিরও বেশি।
আজ মঙ্গলবার নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর কোরবানির পশুর হাটে জায়েদ খানকে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ৩ লাখ টাকা। এর আগে গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত দাম উঠেছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে খামারি ইউনুস মিয়া বলেন, ‘এবার কোরবানির পশুর হাটে তোলার জন্য আমার খামারে ২২টির বেশি গরু লালনপালন করেছি। খামারের বড় গরুগুলোকে ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে। “জায়েদ খান”-এর নামও আকর্ষণীয় করে তুলতেই দিয়েছি।’
জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার ৮০টি পশুর হাট বসবে। এসব হাটে অন্তত ৭০০ কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। একই সঙ্গে জেলাজুড়ে এবার কোরবানির জন্য ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি পশুর চাহিদা রয়েছে।