রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সামিউল করিমের মরদেহ আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এলে শোকের ছায়া নেমে আসে। শত শত মানুষ তাকে একনজর দেখতে ভিড় করেন বাড়িতে। সেখানে নানাবাড়িতেই তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের দেশখাগকাটা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল স্কুলমাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সামিউলের মরদেহ তার নানার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রেজাউল করিমের ছেলে সামিউল ছিল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
সামিউলের নানা আবু জাহের মাল বলেন, ‘আমার নাতিকে যেভাবে হারিয়েছি, আর যেন কাউকে এভাবে হারাতে না হয়। সরকারের কাছে আবেদন, জনবসতিপূর্ণ জায়গায় এভাবে প্রশিক্ষণ বিমান চালানো অন্যায়। যে কারণে আমাদের সবচেয়ে আদরের নাতিকে হারিয়েছি।’
সামিউলের বাবা রেজাউল করিম জানাজায় ছেলের জন্য দোয়া চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানাজায় অংশ নেওয়া শিক্ষক মো. মাসুদ বলেন, ‘এমন ট্র্যাজেডিতে পুরো জাতি মর্মাহত। ছোট শিশুটা এভাবে চলে যাবে, ভাবাই যায় না। এমন ঘটনা আর যাতে আমাদের দেখতে না হয়, এ কামনা করছি।’