হেনরি ওয়াডসওয়ার্থ লংফেলোর কবিতা ‘পল রেভারের রাইড’। ১৮৬১ সালে লেখা এই কবিতায় ফুটে ওঠে কীভাবে একজন সাধারণ আমেরিকান এক রাতের মধ্যে জনগণের নায়ক হয়ে ওঠেন।
১৭৭৫ সালে এক দুঃসাহসিক কাজ করেছিলেন পল রেভার। লেক্সিংটন ও কনকর্ডের যুদ্ধের আগে ব্রিটিশ সৈন্যদের আশপাশের এলাকাবাসীকে সতর্ক করেন তিনি। তবে তাঁর এই রেকর্ড ভেঙে দেন এক নারী। তাঁর নাম সিবিল লুডিংটন।
ষোড়শী সিবিল লুডিংটন এক গভীর রাতে ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হন। তাঁর কাঁধে ব্রিটিশদের আক্রমণ সম্পর্কে নিজের গ্রামবাসীকে সচেতন করার বিশাল দায়িত্ব। তিনি প্রায় ৪০ মাইল পথ পাড়ি দিয়েছিলেন এ কাজের জন্য, যা পল রেভারের বিখ্যাত রাইডের যাত্রাপথের দৈর্ঘ্যের প্রায় তিন গুণ।
ড্যানবারি শহরে আক্রমণ করা হচ্ছে—এমন খবর পেয়ে কোনো কিছু না ভেবেই ঘোড়ায় চড়ে ঘরে ঘরে সতর্কবাণী পৌঁছাতে রওনা দেন সিবিল। অনেকে বলেন, তিনি নিজেই এই সিদ্ধান্ত নেন। আবার অনেকে মনে করেন, তাঁর বাবা তাঁর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন বলেই তিনি এমন দুঃসাহসিক যাত্রা করেছিলেন।
এ ঘটনার দুই বছর পর ১৭৭৭ সালের ২৬ এপ্রিল সিবিল লুডিংটন মাঝরাতে ঘোড়ার পিঠে চড়ে আমেরিকান মিলিশিয়াদের সতর্ক করেছিলেন ব্রিটিশদের আক্রমণ সম্পর্কে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করা এসব কাজ তাঁকে স্মরণীয় করে রেখেছে।