১৯৪৯ সাল। আমেরিকার হারপার অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রকাশ করল কবিতার বই ‘অ্যানি অ্যালেন’। অ্যানি নামের একটি আফ্রো-আমেরিকান মেয়ের জীবনের তিনটি পর্যায় নিয়ে লেখা হয়েছিল বইটি। তিনটি অংশের শিরোনাম ছিল ‘নোটস ফ্রম দ্য চাইল্ডহুড অ্যান্ড গার্ল হুড’, ‘দ্য অ্যানিয়াড’ এবং ‘দ্য ওম্যানহুড’। কবির নাম গোয়েনডোলিন এলিজাবেথ ব্রুকস।
বেশ হইচই পড়ে গেল অ্যানি অ্যালেন নামের কবিতার বইটি নিয়ে। এলিজাবেথ ব্রুকসের নাম উঠল পুলিৎজার পুরস্কারের জন্য। ১৯৫০ সালের ১ মে পুরস্কার পেলেন তিনি। পুলিৎজার পুরস্কারের ইতিহাসে গোয়েনডোলিন এলিজাবেথ ব্রুকস প্রথম নারী কবি হিসেবেই শুধু নয়, প্রথম আফ্রো-আমেরিকান সাহিত্যিক হিসেবে নাম লেখালেন।
১৯১৭ সালের ৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী টোপেকায় জন্ম এলিজাবেথ ব্রুকসের। তবে বেড়ে ওঠেন দক্ষিণ শিকাগোয়। তাঁর লেখা কবিতা ‘ইভেন্টাইড’ প্রকাশিত হয়েছিল শিশু পত্রিকা ‘আমেরিকান চাইল্ডহুড’-এ। তখন তাঁর বয়স ১৩। ১৬ বছর বয়সে তিনি প্রায় ৭৫টি কবিতা লেখেন এবং প্রকাশ করেন। এলিজাবেথের বয়স যখন ১৬ বছর, সে সময় বরেণ্য কবি জেমস ওয়েলডন জনসন তাঁর কবিতার সমালোচনা লেখেন। ১৭ বছর বয়সে এলিজাবেথ আফ্রো-আমেরিকান সংবাদপত্র ‘শিকাগো ডিফেন্ডার’-এ নিজের কবিতা পাঠাতে শুরু করেন। উইলসন জুনিয়র কলেজে পড়ার সময় ব্যালাড ও সনেট থেকে শুরু করে ব্লুজ ছন্দ ব্যবহার করে কবিতা রচনা করেন তিনি। গোয়েনডোলিন এলিজাবেথ ব্রুকসের কবিতায় ফুটে উঠত সেকালের শহুরে জীবন।