স্বাধীন বাংলাদেশের বয়সের সমান্তরালে বেড়েছে বইমেলার বয়স। গত ৫২ বছরে এর রূপ, জায়গা আর পরিসর বদলেছে অনেকবার। দেখতে দেখতে এটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। শীতের শেষ আর বসন্তের শুরু জুড়ে বাঙালির মনে ফেব্রুয়ারি মানেই বইমেলা। এখানে পাঠক, লেখক আর প্রকাশকদের পাশাপাশি বড় একটা অংশজুড়ে থাকেন বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীরা। কেমন দেখেন তাঁরা বইমেলাকে? তাঁদের কথা তুলে ধরেছেন কাশফিয়া আলম ঝিলিক।
স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে বইমেলায় বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন লামিয়া সারা হৃদিতা। তিনি শুরু থেকেই কাজ করছেন আগামী প্রকাশনীতে। হৃদিতার বইমেলার সঙ্গে পরিচয় একজন পাঠক হিসেবে। পরে বইয়ের নেশাতেই তিনি বইমেলার বিক্রয়কর্মী হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। পাঠক হৃদিতা বইমেলায় আসতেন নিজের পছন্দের লেখকের বই সংগ্রহ করতে। তবে বিক্রয়কর্মী হৃদিতাকে এখন সব লেখকের বই সম্পর্কে ধারণা রাখতে হয়। তাঁর কাছে সবচেয়ে মজার বিষয় পাঠক। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিচিত্র মত ও রুচির পাঠকের সঙ্গে পরিচয় হয় হৃদিতার। এই পরিচয় তাঁকে সমৃদ্ধ করে। ভবিষ্যতের মেলাগুলোয় সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে তৃপ্ত হন হৃদিতা।
মেয়েরা এখন আর সীমাবদ্ধ নেই কোথাও। বইমেলাতেও তার প্রমাণ পাওয়া যায়। লেখক, প্রকাশক, প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে বইমেলার বিশাল কর্মযজ্ঞে নারীদের অংশগ্রহণ এখন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিক্রয়কর্মী হিসেবে মেয়েদের অংশগ্রহণকে তাই বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখেন হৃদিতা।