ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গা থেকে যেন কলঙ্কের দাগ আক্ষরিক অর্থেই মুছে গেল। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে রোনালদোর বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। ফলে পুরোপুরি অব্যাহতি পেয়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। চাইলেও এই রায়ের বিরুদ্ধে আর আবেদন করতে পারবেন না ধর্ষণের অভিযোগ তোলা নারী ক্যাথরিন মায়োর্গা।
ঘটনার প্রায় ১৩ বছর হতে চলল। ‘পাপের শহর’ হিসেবে পরিচিত লাস ভেগাসে ঘুরতে গিয়ে পাপিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন রোনালদো। সেখানকার একটি হোটেলে ক্যাথরিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ডের; যা একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়।
কিন্তু ২০১০ সালে এটিকে ধর্ষণ বলে অভিযোগ করতে থাকেন সাবেক মডেল ও স্কুল শিক্ষিকা ক্যাথরিন। এমনকি মামলার হুমকিও দেন।
কিন্তু ২০১৭ সালে বিশ্বজুড়ে ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলন শুরু হলে রোনালদোর বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ করেন ক্যাথরিন। তাঁর অনুরোধের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের আগস্টে এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।
ক্যাথরিনের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে রোনালদোর আইনজীবীরা শুরু থেকেই বলে আসছিলেন, পারস্পরিক সম্মতিতেই দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। অকারণে তাঁদের মক্কেলকে (রোনালদোকে) হয়রানি করা হচ্ছে। যেহেতু রোনালদো সমাজের প্রভাবশালী, প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় মানুষ, তাই তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ক্যাথরিন। শেষ পর্যন্ত এটিই সত্যি প্রমাণিত হলো।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
লাগ ভেগাস অ্যাটর্নি অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রোনালদোর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।’
ফুটবল খেলা সম্পর্কিত পড়ুন: