হোম > খেলা > ক্রিকেট

ভারতকে শাস্তি দেবেন না, সমস্যা হবে: আইসিসির ম্যাচ রেফারি

ক্রীড়া ডেস্ক    

ভারতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। ছবি: সংগৃহীত

মাঠের ক্রিকেটে ভারতের কতটা দাপট, সেটা না বললেও চলছে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ২০২৫ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ—সবশেষ ১৬ মাসে তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে দলটি। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রশাসনিক কাঠামোতেও ছড়ি ঘোরায় ভারত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড সেরকমই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে কদিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের এক ম্যাচের ঘটনা তুলে ধরেছেন। সেই ম্যাচে তিনি ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন। যদিও ম্যাচটি কবে হয়েছে এবং ভারতের প্রতিপক্ষ কে ছিল, সে ব্যাপারে কিছু তিনি জানাননি। সেই ম্যাচে ভারত ওভাররেটে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন-চার ওভার পিছিয়ে থাকায় শাস্তি পেতে পারত। কিন্তু ব্রডকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছিল, ভারতকে যেন শাস্তি না দেওয়া হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে আইসিসির এই ম্যাচ রেফারি বলেন, ‘ম্যাচ শেষে ভারত তিন-চার ওভার পিছিয়ে ছিল। স্লো ওভার রেটের কারণে তাদের জরিমানা হওয়ার কথা ছিল। আমাকে ফোন করে সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কারণ, এটা ভারত। আমি চিন্তা করে দেখলাম ঠিক আছে। তারপর কোনোভাবে আমরা কিছু অতিরিক্ত সময় বের করলাম যাতে ওভাররেট জরিমানার সীমার নিচে আনা যায়।’

ব্রড ভারতের যে ম্যাচের কথা বলেছেন, ঠিক তার পরের ম্যাচেও একই ঘটনা ঘটেছিল বলে উল্লেখ করেছেন ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘পরের ম্যাচেও ঘটে একই ঘটনা। সৌরভ গাঙ্গুলী তখন দ্রুত খেলা শেষ করার নির্দেশ মানছিল না। ফোন করে তখন জানতে চেয়েছিলা, কী করতে পারি? তখন আমাকে বলা হয়েছিল, ‘গাঙ্গুলীকে শুধু জরিমানা করুন।’

ভারত নানারকম সুবিধা পাওয়ায় সামাজিকমাধ্যমে আইসিসিকে ব্যঙ্গ করে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি) বলা হয়। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেশি রাজস্ব সুবিধা পেয়ে থাকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। আইসিসির ২০২৪-২৭ বাণিজ্যিক চক্রে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে ভারত। বছরে গড়ে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করবে বিসিসিআই। যা আইসিসির মোট আয়ের ৩৮.৫ শতাংশ।

ব্রডের মতে আইসিসির ওপর অনৈতিক প্রভাব খাটায় বিসিসিআই। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইসিসির অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারি বলেন, ‘ভিনস ফন ডার বিজল (তৎকালীন আইসিসি আম্পায়ার ম্যানেজার) ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় আমাদের সহায়তা করতেন। কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার পর ভঙ্গুর হয়ে পড়ে ব্যবস্থাপনা। ভারতের কাছে এখন সব অর্থ। নানাভাবে আইসিসিকে তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। এখন যে এসবের সঙ্গে নেই, তাতে আমি খুশি। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি এখন অনেক বেশি রাজনৈতিক হয়ে গেছে।’

২০০৩ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইসিসির ম্যাচ রেফারি ছিলেন ব্রড। এ সময়ে তিনি ১২৩ টেস্ট, ৩৬১ ওয়ানডে ও ১৩৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রড জানিয়েছেন, তিনি আরও কাজ করে যেতে চাইলেও ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা তাঁর চুক্তি নবায়ন করেনি। আর ২০২৩ সালের অ্যাশেজ চলাকালে নিজের ছেলে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে আউট হয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সে সময় সামাজিকমাধ্যমে একটি মিম শেয়ার করেছিলেন বলে ক্রিস ব্রডকে আইসিসি তিরস্কার করেছিল। ব্রডের চেয়ে ম্যাচ রেফারি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পরিচালনা করার রেকর্ড কেবল দুজনের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৮২০ ম্যাচে রঞ্জন মাদুগালে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। এই তালিকায় দুইয়ে থাকা জেফ ক্রো ৬৮৪ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।

বিয়ে করেছেন ক্রিকেটার রুমানা

আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ শুরু যুবাদের

শতভাগ ফিট হয়ে নির্বাচকেদের দিকে তাকিয়ে খাজা

প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাল আফগানিস্তান

দুর্নীতির অভিযোগে নিষিদ্ধ ভারতের ৪ ক্রিকেটার

হ্যাট্রটিক শিরোপার মিশনে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

২২৯ রান করেও আফসোসটা থেকেই গেল ডাচ ক্রিকেটারের

ইংল্যান্ড দলে ২০ বছরে যা পাননি, এবার তা-ই পেলেন অ্যান্ডারসন

গম্ভীর কি ক্রিকেট কোচ নাকি ফুটবল কোচ, প্রশ্ন ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষকের

গতিতারকা শোয়েব আখতারকে যেভাবে কাজে লাগাতে চায় ঢাকা