বছর ঘুরে ২০২৩ সালে ফিরে যাওয়া যাক। গত বছরের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। পাল্লা দিয়ে রান করেন এ দুই ব্যাটার। যদিও ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন সিলেটের।
সিলেট চ্যাম্পিয়ন না হলেও শান্ত ৫১৬ রান করে গত বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে শেষ করেন টুর্নামেন্ট। বিপিএলের নির্দিষ্ট কোনো এক মৌসুমে বাংলাদেশিদের মধ্যে তা সর্বোচ্চ রান। এক বছর পর এবারের বিপিএলে সিলেটের হয়ে নিজের ছায়া হয়ে খেলেন তিনি। অন্যদিকে হৃদয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হয়ে খেলছেন। গত বছরের ফর্মটাই টেনে নিয়েছেন এবার। তাঁর (হৃদয়) সামনে রয়েছে শান্তর রেকর্ড ভাঙার হাতছানি।
শুধু হৃদয়ই নন, শান্তর রেকর্ড ভাঙার দৌড়ে আছেন তামিম ইকবালও। এবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তামিম। দলও উঠেছে ফাইনালে। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে বরিশাল ও কুমিল্লা। দলীয় ও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে এবারের বিপিএলে তামিম এতটাই দুর্দান্ত যে ‘ক্যাপ্টেইন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’—বহু ক্লিশে এই প্রবাদ বললেও অত্যুক্তি হবে না। ১৪ ম্যাচে ৪৫৩ রান করে এবারের বিপিএলে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। করেছেন ৩ ফিফটি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা হৃদয়ের স্কোর ৪৪৭ রান। এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেন ২ ফিফটি।
তামিম-হৃদয় যেমন ছন্দে আছেন, তাতে তাঁরা যদি শান্তর ৫১৬ রান টপকে যান, অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। এছাড়া বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের সেরা পাঁচের চারজনই কুমিল্লা ও বরিশালের। ৩৭৫ রান করে চারে আছেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। পাঁচে থাকা বরিশালের মুশফিকুর রহিম করেন ৩৬৭ রান। স্কোর দেখেই বোঝা যাচ্ছে, লিটন-মুশফিকের পক্ষে শান্তকে টপকানো একপ্রকার অসম্ভব।
বিপিএলে এক মৌসুমে স্থানীয় ব্যাটারদের মধ্যে সেরা পাঁচ
রান ব্যাটার দল মৌসুম
৫১৬ নাজমুল হোসেন শান্ত সিলেট স্ট্রাইকার্স ২০২৩
৪৯১ মুশফিকুর রহিম খুলনা টাইগার্স ২০১৯-২০
৪৭৬ তামিম ইকবাল চট্টগ্রাম ভাইকিংস ২০১৬
৪৬৭ তামিম ইকবাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ২০১৯
৪৫৫ লিটন দাস রাজশাহী রয়্যালস ২০১৯-২০
৪৫৩ তামিম ইকবাল ফরচুন বরিশাল ২০২৪
৪৪৭ তাওহীদ হৃদয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ২০২৪
* ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর রাইডার্স-ফরচুন বরিশাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ পর্যন্ত