নিউইয়র্কে ৩ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৬ উইকেটে হারের পর শ্রীলঙ্কা গুরুতর অভিযোগ করেছিল। লঙ্কানদের অভিযোগ, বিশ্বকাপে তাদের ঘন ঘন ভেন্যু পরিবর্তন করতে হচ্ছে। তবে লঙ্কানদের চেয়েও এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণঝক্কি পোহাতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হচ্ছে ৯ ভেন্যুতে। যার মধ্যে ৩ ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রের। বাকি ৬ ভেন্যু ওয়েস্ট ইন্ডিজের। উইজডেন ক্রিকেটের গত রাতের এক প্রতিবেদনে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড শেষ হওয়া পর্যন্ত দলগুলোর ভ্রমণপথ নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত-সাকিব আল হাসানদের ৯৯২১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে।
প্রস্তুতি ম্যাচসহ হিসাব করলে বাংলাদেশকে জায়গা বদলাতে হচ্ছে চারবার। ডালাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। বাংলাদেশকে এরপর নিউইয়র্কে পাড়ি জমাতে হয়েছে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। নিউইয়র্ক থেকে আবার ডালাসে যেতে হয়েছে শান্ত-সাকিবদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরিতে পরশু বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় শান্তদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে। ডালাস থেকে এরপর ফিরতে হবে নিউইয়র্কে। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টিতে ১০ জুন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউইয়র্ক থেকে যেতে হবে সেন্ট ভিনসেন্টে। ১৩ ও ১৭ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
ভ্রমণপথের হিসাবে নেপাল রয়েছে চার নম্বরে। প্রথম রাউন্ড পর্যন্ত নেপালিদের পাড়ি দিতে হবে ৪ হাজার ২১৪ কিলোমিটার পথ। সহ–আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রেরও পাড়ি দিতে হবে ৩ হাজার ৯২২ কিলোমিটার পথ। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরিতে কানাডার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় দিয়ে ২ জুন বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে মার্কিনরা। একই মাঠে আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। নিউইয়র্ক ও ফ্লোরিডায় ভারত ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ খেলবে মার্কিনরা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে পাঁচে রয়েছে কানাডা ও পাকিস্তান।
নিউইয়র্কে গতকাল আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে ভারত। ভারত গ্রুপ পর্বের প্রথম তিন ম্যাচ খেলবে নিউইয়র্কেই। ১৫ জুন কানাডার বিপক্ষে ফ্লোরিডায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। ভারতের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাও গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ খেলবে নিউইয়র্কে। তবে ভারতের চেয়ে প্রোটিয়াদের প্রায় দ্বিগুণ দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে প্রথম রাউন্ড শেষ হওয়া পর্যন্ত। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকে পাড়ি দিতে হবে ৮ হাজার ৯৭ ও ৭ হাজার ৩৮০ কিলোমিটার পথ। সবচেয়ে কম ৫০৫ কিলোমিটার ভ্রমণ করতে হবে ইংল্যান্ডকে।
ভ্রমণপথের দূরত্ব (কিলোমিটার)
বাংলাদেশ ৯৯২১
শ্রীলঙ্কা ৮০৯৭
নেদারল্যান্ডস ৭৩৮০
নেপাল ৪২১৪
কানাডা ৩৯২২
যুক্তরাষ্ট্র ৩৯২২
পাকিস্তান ৩৯২২
আয়ারল্যান্ড ৩৪৩৪
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩০৬
ভারত ১৭১৭
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭০৯
আফগানিস্তান ১৫২১
পাপুয়া নিউগিনি ১২৪৬
উগান্ডা ১২৪৬
স্কটল্যান্ড ১২৪২
অস্ট্রেলিয়া ১১৯৫
নামিবিয়া ৯২৪
ওমান ৮৯১
নিউজিল্যান্ড ৬২৩
ইংল্যান্ড ৫০৫
আরও পড়ুন: