হোম > খেলা > ক্রিকেট

লিটন-মুশির মহাকাব্যিক ‍জুটিতে সহজ হলো বোলারদের কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জিতলেই সিরিজ জয়। সঙ্গে বাড়তি পাওয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হটিয়ে ওয়ানডে সুপার লিগের চূড়ায় উঠে যাওয়া। দারুণ সব সমীকরণ সামনে রেখে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ২০২ রানের মহাকাব্যিক জুটিতে আফগানিস্তানকে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।

ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে লিটন ফেরেন ১৩৬ রানে। সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল মুশফিকের সামনেও। তবে দৃষ্টিসীমায় থাকা নবম সেঞ্চুরিটা হলো না এই উইকেটকিপার ব্যাটারের। ফিরতে হয়েছে ৮৬ রানের আফসোস নিয়ে। 

প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাটিং করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেদিন পরে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ওপর কি কালবৈশাখী ঝড়টাই না বইয়ে দিয়েছিলেন আফগান বাঁহাতি পেসার ফজল হক ফারুকি। 

আজ তাই টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগটা নেন তামিম ইকবাল। শুরুতে যথারীতি ফারুকি তাঁর বিষমাখানো সুইংয়ে ঘায়েল করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে। তবে শুরুর সেই জড়তা দ্রুতই কাটিয়ে এগোচ্ছিলেন তামিম-লিটন। এই সময়ে ব্যাটে রান কম এলেও বাংলাদেশ ভাগ্যের সহায়তা পাচ্ছিল অতিরিক্ত কোটায় আসা রানে। কিন্তু সপ্তম ওভারে এসে সেই একই ভুল করে বসলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে আবারও মিস করলেন বলের লাইন। প্রথম ওয়ানডের ‘হাইলাইটস’ দেখিয়ে সেই ফারুকির বলেই ফিরলেন তামিম (১২)। 

শুরুতে তামিমের বিদায়ে আরও একটি টপ অর্ডার ধসের শঙ্কা যখন উঁকি দিচ্ছিল, তখন লিটন-সাকিবের কল্যাণে একটা ভালো জুটি পায় বাংলাদেশ। প্রথম দিকে কিছুটা এলোমেলো লিটন অনেকক্ষণ উইকেটে কাটিয়ে দেওয়ার ফল পাচ্ছিলেন এ সময়। সাকিবও নিজের স্বভাবজাত খেলা খেলে চলছিলেন। কিন্তু ১৬তম ওভারে রশিদ খান বোলিং প্রান্তে এসে আবারও নিলেন উইকেট। এবার সাকিব আল হাসানকে (২০) ফিরিয়ে ভাঙেন ৪৫ রানের জুটি। 

এর পরের গল্পটা শুধুই একটি জুটির। বাংলাদেশ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে ১৫ ও ১৬ নম্বর জার্সিধারীর ব্যাটে চড়ে। লিটন-মুশির এই জুটি তো বাংলাদেশকেও পৌঁছে দিল নিরাপদ গন্তব্যে।

৪১তম ওভারের চতুর্থ বলে রশিদ খানকে কাভার অঞ্চল দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে তিন অঙ্কে পৌঁছান লিটন। ১০৭ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছার পর আরও ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠেন লিটন। যে ফারুকি প্রথম ম্যাচে নাকানিচুবানি খাইয়েছিলেন, সেই তাঁকেই দুবার গ্যালারিতে উড়িয়ে ফেলেন দুটি বড় ছক্কায়।

শেষ পর্যন্ত ১২৬ বলে ১৩৬ রান করে ডিপ স্কয়ার লেগে মুজিবের হাতে ধরা পড়েন লিটন। লিটনের ফেরার পরের বলেই ফেরেন তাঁর দীর্ঘক্ষণের সঙ্গী মুশিও। থার্ড ম্যানের ওপর দিয়ে বল বাউন্ডারির ওপারে পাঠাতে গিয়ে ফেরেন ক্যাচ আউট হয়ে। 

লিটন তাঁর ইনিংসজুড়ে একবারই সুযোগ দিয়েছিলেন। ৮৭ রানে কাভারে ক্যাচ দিলেও সেটি ধরতে পারেননি আফগান ফিল্ডার। এটা ছাড়া তাঁর পুরো ইনিংসটিই ছিল নিখুঁত শৌর্যে ভরা। মুশির ৯৩ বলের ইনিংসটিও ছিল একই, যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা। 

সকালে টস করতে এসে তামিম ইকবাল জানিয়েছিলেন, অন্তত ২৬০ রান করতে চান। লিটন-মুশির কল্যাণে তিনি পেলেন তাঁর চেয়ে ৪৬ রান বেশি। ব্যাটাররা তাঁদের কাজটা ঠিকঠাক পালন করলেন, এখন বাকি কাজটা মোস্তাফিজ-তাসকিনদের।

বিকেলে কাঁপালেন মোস্তাফিজ, রাতে সাকিব

ভারতকে একা হাতে শেষ করে দেওয়া কে এই সামির মিনহাজ

হঠাৎ ভাত থেকে স্যান্ডউইচে চলে গেলি, শামীমকে সাইফউদ্দিন

এবারও পাকিস্তানের বোর্ডপ্রধানকে বর্জন করলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা

দুবাইকে জিতিয়ে ম্যাচসেরা মোস্তাফিজ

মিঠুনকে কেন অধিনায়ক করল ঢাকা ক্যাপিটালস

মোস্তারির ফিফটিতে উত্তরাঞ্চলের হ্যাটট্রিক জয়, হেরেই চলেছে পূর্বাঞ্চল

ভারতকে গুঁড়িয়ে ১৩ বছর পর চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

১ ওভারে মোস্তাফিজের ৩ উইকেট, হলো না হ্যাটট্রিক

বিপিএলে রাজশাহীর উইকেটরক্ষক আসলে কে, মুশফিক নাকি আকবর