বিপিএলের প্রথম দুই সংস্করণের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রথমবার ২০১২ সালে খুলনা রয়্যালস বেঙ্গলসের হয়ে এবং দ্বিতীয়বার ২০১৩ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের জার্সিতে। এরপর আরও দুইবার বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি।
এবারের বিপিএলেও সেরা হওয়ার সুযোগ ছিল সাকিবের। তবে কোয়ালিফায়ারের দুটি ম্যাচেই নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। ফাইনালের টিকিট এনে দিতে পারেননি রংপুর রাইডার্সকে। ১৩ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট ও ১১ ইনিংসে ২৬২ রান করার পরও সাকিব জিততে পারেননি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। জিতেছেন তাঁরই ‘শত্রু’ তামিম ইকবাল।
বিপিএলের ১০ম সংস্করণে এসে প্রথমবার এ পুরস্কার জিতলেন সাকিব। ১৫ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৯২ রান নিয়ে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ফাইনালে লক্ষ্য তাড়ায় খেলেছেন ২৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। ফরচুন বরিশাল প্রথমবার বিপিএল শিরোপা জিতল তামিমের নেতৃত্বেই। ৩৪২২ নিয়ে বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও তিনি।
এবার অবশ্য সাকিব ছাড়াও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ে তামিমের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু ফাইনালে জ্বলে উঠতে পারেননি কুমিল্লা ব্যাটার। ১৪ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬২ রান করেছেন তিনি।